(বাঁ দিকে) সিজিও দফতরে গত মঙ্গলবার দৌড়ে ঢুকছেন এএসআই। শনিবার হেঁটে ঢুকছেন সেই অনুপ দত্ত (ডান দিকে)। — নিজস্ব চিত্র।
আবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হলেন আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের ‘ঘনিষ্ঠ’ সেই এএসআই (অ্যাসিসট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর)। শনিবার হেঁটেই সিবিআইয়ের দফতরে ঢুকলেন অনুপ দত্ত। তাঁর হাতে ছিল বেশ কিছু ফাইলপত্র। গত মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেওয়ার সময় সাংবাদিকদের ক্যামেরা দেখে দৌড়ে ঢুকে গিয়েছিলেন দফতরে। এ বার অবশ্য সে সব করেননি। তবে এড়িয়ে গিয়েছেন সাংবাদিকদের প্রশ্ন।
শনিবার সিজিও দফতরে হাজিরা দেন কলকাতা পুলিশের আরও চার সদস্য। তাঁদের হাতে ছিল কলকাতা পুলিশ লেখা একটি ফাইল। চার জন পুলিশকর্মীর মধ্যে এক জন রয়েছেন সাইবার অপরাধ দমন শাখায়। এর পর সিজিও দফতরে এলেন আরজি কর আউটপোস্টের ওসি-সহ প্রায় ১০ জন পুলিশকর্মী। ৮ অগস্ট রাতে যাঁরা সেখানে মোতায়েন ছিলেন, তাঁদের তলব করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিবিআই। আদালতের নির্দেশেই তাদের হাতে এই ঘটনার নথিপত্র তুলে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। এই কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারকেও তুলে দেওয়া হয়েছিল সিবিআইয়ের হাতে। আদালতের নির্দেশে এখন ধৃত জেল হেফাজতে রয়েছেন। তদন্তভার হাতে নিয়ে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ-সহ একাধিক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ধৃতের ‘ঘনিষ্ঠ’ এএসআই অনুপকেও। গত মঙ্গলবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হয়ে সংবাদমাধ্যমকে দেখেই দৌড় দেন তিনি। দৌড়তে দৌড়তে কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ানকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে একেবারে লিফ্টের মধ্যে গিয়ে থামেন। অনুপের সেই দৌড় দেখে বিস্মিত হন সিজিও কমপ্লেক্সে উপস্থিত লোকজন। পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে শুরু হয় হাসাহাসি। যদিও শনিবার সে রকম কিছুই করেননি অনুপ। সোজা হেঁটে ঢুকে যান সিজিও দফতরে।
সূত্রের খবর, সিভিক ভলান্টিয়ার হিসাবে প্রথমে কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (ডিজ়াস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ বা ডিএমজি)-তে যোগ দিয়েছিলেন আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত। তবে সেখানে অল্প কয়েক দিন কাজ করার পরেই তাঁকে পাঠানো হয় পুলিশের ওয়েলফেয়ার কমিটিতে। এক জন সিভিক ভলান্টিয়ার হয়েও অভিযুক্ত কী ভাবে পুলিশের ওয়েলফেয়ার কমিটিতে ছিলেন, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। এএসআই অনুপও পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির সদস্য বলেই সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy