প্রতীকী ছবি।
সেনাবাহিনীতে সে চাকরি করে পাম্প কর্মীর পদে। কিন্তু সকলের কাছে নিজের পরিচয় দিয়েছিল সেনা অফিসার হিসেবে। আর সেই পরিচয়কে কাজে লাগিয়েই সেনাবাহিনীতে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছিল ওই ব্যক্তি। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গিয়েছে প্রতারণার ঘটনায় অভিযুক্ত ওই সেনাকর্মী।
পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম রামজি তিওয়ারি। সে বালিগঞ্জ সেনা ক্যাম্পে পাম্প ম্যান হিসেবে চাকরি করে। ওই ক্যাম্পেই একটি কোয়ার্টার্সে থাকে। শুক্রবার রাতে বেনিয়াপুকুর এলাকা থেকে রামজিকে ধরেছে ভবানীপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, ভবানীপুর থানা এলাকার বকুলবাগান রোডের বাসিন্দা বিনোদিনী সিংহ গত অগস্ট মাসে থানায় অভিযোগ করে জানান, তাঁর ছেলে-সহ তিন যুবককে সেনাবাহিনীতে চাকরি পাইয়ে দেবে বলে রামজি কয়েক লক্ষ টাকা নিয়েছে। কিন্তু চাকরি পাইয়ে দেওয়া তো দূর, ফোন পর্যন্ত ধরছে না সে। পুলিশ জানায়, প্রতারিত হয়েছেন, এটা বুঝতে পেরেই তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন।
পুলিশ অফিসারেরা জানান, তদন্তে নেমে তাঁরা জানতে পারেন, বালিগঞ্জ সেনা ক্যাম্পে অভিযুক্ত রামজি থাকত। কিন্তু অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকেই সে পলাতক। মোবাইল ফোনটিও বন্ধ। কাজে আসাও বন্ধ করে দিয়েছে রামজি। এর পরেই ভবানীপুর থানার ওসি সলিল রায়ের নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেন পুলিশের কর্তারা। সিট-এর সদস্যেরা শুক্রবার রাতে জানতে পারেন, রামজি বেনিয়াপুকুর থানার পাশে একটি জায়গায় আত্মগোপন করে আছে। এর পরেই সেখানে হানা দেয় পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, রামজি ওই তিন জনের কাছ থেকে তিন দফায় প্রায় পৌনে ১১ লক্ষ টাকা নিয়েছিল। এমনকী, প্রতারিতদের বিশ্বাস অর্জন করতে মেডিক্যাল চেক-আপের জন্য আলিপুরের সেনা হাসপাতালেও নিয়ে গিয়েছিল তাঁদের। কিন্তু চিকিৎসক নেই, এই অছিলায়
তাঁদের হাসপাতালের ভিতরে নিয়ে যায়নি রামজি। সে দিনের পর থেকে আর রামজির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
তদন্তকারী এক অফিসারের দাবি, ওই তিন জন ছাড়াও আরও জনা দশেক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল রামজি। প্রত্যেকের কাছেই নিজেকে সেনাবাহিনীর অফিসার বলে পরিচয় দিয়েছিল সে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy