প্রতীকী ছবি।
মহেশতলার বাটা মোড়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যার দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল চার। মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার সময়ে একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারীদের ধাক্কা মেরে উল্টে যায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই দিনই মৃত্যু হয় তিন জনের। মঙ্গলবার গভীর রাতে মারা যান শেখ জামাল (৪৫) নামে চতুর্থ ব্যক্তি। তাঁকে ওই রাতেই এসএসকেএমে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রের খবর, বজবজ থানার পূর্ব নিশ্চিন্তপুর এলাকার বাসিন্দা মৃত বীরেন্দ্র চক্রবর্তীর (৬০) দেহ ময়না-তদন্ত করে আত্মীয়েরা একটি গাড়িতে ফিরছিলেন ওই দিন। গাড়িতে থাকা বীরেন্দ্রবাবুর ভাইপো রাজদীপ চক্রবর্তী (২৬) এবং অন্য এক আত্মীয় সমীরণ চক্রবর্তী (৪২) মারা যান। গাড়ির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মোহিত মল্লিক (৬২) নামে এক রিকশা চালকের।
বুধবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ডিআইজি (ট্র্যাফিক) তন্ময় রায়চৌধুরী। পরে মহেশতলা থানায় বৈঠক করেন তিনি। ওই এলাকায় রাস্তার আলো থাকে না বলেও অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দা এবং পুলিশ। সেটিও ওই দিনের দুর্ঘটনার একটি কারণ বলে মনে করছেন স্থানীয়েরা। মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান দুলাল দাস বলেন, ‘‘কয়েক দিনের মধ্যেই ওই এলাকায় আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, শেখ জামালই গাড়িটির মালিক। ওই দিন তিনি চালকের আসনের পাশেই বসেছিলেন।
গাড়িচালক সুরাবুদ্দিন মুন্সি বর্তমানে এম আর বাঙুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পরে সুরাবুদ্দিনকে হেফাজতে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। এলাকার বাসিন্দাদের কথায়, ঘটনার পরপরই মানিক সমাজদার ও স্বাধীন বিশ্বাস নামে মহেশতলা থানার দুই পুলিশকর্মী ও এলাকার কয়েক জন বাসিন্দা দ্রুত জখমদের অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, মৃতের পরিবারদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy