উত্তোলন: মাটি থেকে কামান তোলার কাজ চলছে। বুধবার, দমদমে। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য।
দমদম সেন্ট্রাল জেল মোড়ের কাছে রাস্তার ধারে যে দু’টি কামান রয়েছে, তার মধ্যে একটিকে নিয়ে যাওয়া হবে সংগ্রহশালায়। বুধবার সেই অতিকায় কামান মাটি থেকে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। সেটি সংরক্ষণ করার জন্যই সংগ্রহশালায় রাখা হবে। সেখানে ওই কামানটি প্রদর্শিত হবে এবং সেটির ইতিহাস বর্ণনা করা হবে। এ দিন এ কথা জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জেনারেল ও অফিশিয়াল ট্রাস্টি বিপ্লব রায় এবং কামান বিশেষজ্ঞ অমিতাভ কারকুন।
এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত নানা ভাবে চেষ্টা করা সত্ত্বেও অবশ্য ওই কামানটি মাটি থেকে পুরোপুরি তোলা যায়নি। ভূগর্ভে বিদ্যুৎ পরিষেবা সংক্রান্ত বিভিন্ন কেব্ল রয়েছে। সেগুলি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তার ব্যবস্থা করে তার পরেই কামানটি পুরোপুরি তোলা হবে বলে তাঁরা জানিয়েছেন। দমদম থানার পুলিশ জায়গাটি ঘিরে রেখেছে।
এ দিন অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জেনারেল ও অফিশিয়াল ট্রাস্টির নেতৃত্বে কাজ শুরু হয়। ছিলেন অমিতাভবাবুও। ছিল দমদম থানার পুলিশ। বিপ্লববাবু জানান, তাঁদের অনুমান, ওই কামানটি নবাব সিরাজউদ্দৌলার আমলের। এটি সম্ভবত এ শহরের বৃহত্তম কামান।
কামান তোলার কাজ দেখার জন্য এ দিন মানুষের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জেনারেল জানান, কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় এমন আরও কিছু কামান আছে। সেগুলিকেও তুলে সংরক্ষণ করা হবে। অমিতাভবাবু জানান, বিপ্লববাবুর নেতৃত্বে, তাঁর দফতর এবং কলকাতা হাই কোর্টের সহযোগিতায় একটি সংগ্রহশালার কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে এই ধরনের ঐতিহাসিক বস্তু সংরক্ষিত হবে। তিনি জানান, ১৭৫০ সালের আশপাশে এই ধরনের কামান তৈরির কাজ শুরু হয়। যদিও কামানটি এখনও পুরোপুরি দেখা সম্ভব হয়নি। কামানের গায়ের লেখাও পড়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy