Advertisement
১৮ অক্টোবর ২০২৪
Suicide Case

বিয়ে, নির্যাতনে ‘আত্মঘাতী’ নাবালিকা

পুলিশ সূত্রের খবর, মেয়েটিকে ফুসলিয়ে নিয়ে গিয়ে মন্দিরে বিয়ে করে অভিযুক্ত। তখন তার বয়স ছিল ১৬ বছর সাত মাস।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৪ ০৯:৪৭
Share: Save:

কম বয়সে ফুসলিয়ে বিয়ে, গুজরাতে শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ, জোর করে গর্ভপাত করানো এবং আবার কলকাতায় ফিরিয়ে এনে নির্যাতন। পরিণামে খাস দক্ষিণ কলকাতার কসবা থানা এলাকায় এক নাবালিকা আত্মঘাতী হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। বুধবার শ্বশুরবাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার দেহ উদ্ধার করা হয়। মেয়েটির স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, দেওর ও ননদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। পকসো আইনের ধারায় মেয়েটির স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, জোর করে গর্ভপাত করানো এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মেয়েটির স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির এক আত্মীয়কে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার আদালতে তোলে পুলিশ। আলিপুরের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতের বিচারক অভিযুক্তদের ২২ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত দিয়েছেন।

পুলিশ সূত্রের খবর, মেয়েটিকে ফুসলিয়ে নিয়ে গিয়ে মন্দিরে বিয়ে করে অভিযুক্ত। তখন তার বয়স ছিল ১৬ বছর সাত মাস। এর আগে ছ’মাস ধরে মেয়েটির মগজ ধোলাইয়ের চেষ্টা চলছিল বলে পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে। শ্বশুরবাড়ি আদতে গুজরাতে। বিয়ের পরে সেখানেই নিয়ে যাওয়া হয় মেয়েটিকে। সেখানেই সে অন্তঃসত্ত্বা হয়। নাবালিকার সন্তানসম্ভবা হওয়া নিয়ে জটিলতা ঠেকাতে তার স্বামীই গর্ভপাত করাতে বাধ্য করে বলে অভিযোগ। এর পরে মেয়েটিকে কলকাতায় ফিরিয়ে আনা হয়। শ্বশুরবাড়িতে সবাই মিলে মেয়েটির উপরে নির্যাতন চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ।

অভিযুক্তদের আলিপুরের মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারকের আদালতে পেশ করার পরে সরকারি আইনজীবী শুভাশিস ভট্টাচার্য এ দিন আদালতে বলেন, ‘‘এই প্রবণতা সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। এটি নৃশংস অত্যাচারের ঘটনা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত এবং তাদের দোষী সাব্যস্ত করার প্রক্রিয়া চালু করা উচিত। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার দরকার রয়েছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Domestic Violence kasba
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE