ছবি: পিটিআই।
দিল্লির বাতাসে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার (পিএম২.৫) পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার জন্য সংলগ্ন রাজ্যগুলিতে ফসলের গোড়া পোড়ানো যে অনেকাংশে দায়ী, সেই কথা বলছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য। যেখানে দিল্লিতে বায়ুদূষণের নেপথ্যে গত ১৫ অক্টোবর ফসলের গোড়া পোড়ানো দায়ী ছিল মাত্র ৬ শতাংশ, তা মাত্র দু’দিনে বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১৯ শতাংশে! কোভিড পরিস্থিতিতে যা আরও বিপজ্জনক হতে পারে বলে আশঙ্কা পরিবেশবিদদের।
অবশ্য শুধু দিল্লি নয়, কলকাতার সংলগ্ন এলাকা-সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে এই ফসলের গোড়া পোড়ানো হচ্ছে। বাসন্তী হাইওয়ে সংলগ্ন এলাকার পাশাপাশি দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে নিয়মিত ফসলের গোড়া পোড়ানো হচ্ছে অভিযোগ পরিবেশবিদদের। সে কারণে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে আরও কড়া নজরদারির প্রয়োজন বলে মনে করছেন তাঁরা। এক পরিবেশবিদের বক্তব্য, ‘‘বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ যে ফসলের গোড়া পোড়ানো, তা ইতিমধ্যে প্রমাণিত। এ রাজ্যেও এর কোনও ব্যতিক্রম হয়নি।’’ বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বায়ুদূষণের উৎস হিসেবে রাস্তার ধুলো, নির্মাণ সংক্রান্ত দূষণ-সহ একাধিক বিষয়কে যতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়, ফসলের গোড়া পোড়ানোকে ততটা দেওয়া হয় না। দিল্লিতে এর গুরুত্ব থাকলেও এ রাজ্যে এখনও এ বিষয়টি ততটা গুরুত্ব পায় না। রাজ্যের কৃষি দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘বিষয়টি নিয়ে কৃষকদের সচেতন করার চেষ্টা করছি ক্রমাগত।’’ প্রশাসনিক এক কর্তার দাবি, ‘‘সচেতনতা প্রচারের কারণে কিছুটা হলেও সাড়া মিলেছে।’’
যদিও পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের বক্তব্য, কলকাতা থেকে একটু দূরে অনেক জায়গার চাষের জমিতেই ফসলের গোড়া আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের আশপাশে প্রায়ই এই দৃশ্য দেখা যাবে। সুভাষবাবুর কথায়, ‘‘এ নিয়ে পদক্ষেপ করার জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে লিখিত ভাবে আবেদনও জানিয়েছি। কারণ, এমনিতেই এর ফলে বায়ুদূষণ হয়। তার উপরে কোভিড পরিস্থিতিতে বাতাসের মান আরও খারাপ হয়, এমন ঝুঁকি নেওয়াই যাবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy