ব্রিগেড সমাবেশের জেরে যানজটে হাঁসফাঁস অবস্থা শহরের। ছুটির দিন হলেও কার্যত স্তব্ধ কলকাতার বিভিন্ন রাস্তা। রবিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে ব্রিগেডের পথে পা বাড়িয়েছেন সিপিএম কর্মী-সমর্থকেরা। শহরকে সচল রাখার লালবাজারের আশ্বাস সত্ত্বেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কার্যত অবরুদ্ধ হয়েছে শহরের বিভিন্ন এলাকা। ফলে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে।
এ দিন সকাল ১১টা থেকেই বাম কর্মী-সমর্থকদের ব্রিগেডমুখী মিছিলের দখলে চলে যায় শহরের রাজপথ। হাওড়া ব্রিজ থেকে স্ট্র্যান্ড রোড বাবুঘাট হয়ে ইডেন গার্ডেনের পাশ দিয়ে ব্রিগেডে আসে একটি মিছিল। বিটি রোড ও শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড় থেকে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, জওহরলাল নেহেরু রোড হয়ে এগোয় মিছিল। পাশাপাশি, শ্যামবাজার থেকে বিধান সরণি-বৌবাজার স্ট্রিট-চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, জওহরলাল নেহেরু রোড হয়েও মিছিল করে ব্রিগেডের দিকে এগিয়েছেন বাম কর্মী-সমর্থকেরা।
বিভিন্ন জেলা থেকেও ব্রিগেডে এসেছেন তাঁরা। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম দুই ২৪ পরগনা থেকেও বহু কর্মী-সমর্থক এ দিন ব্রিগেডে এসেছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, বাঁযানজট এড়াতে বাঁকুড়া-পুরুলিয়া-বীরভূম থেকে আসা ভিড়কে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর বদলে বালি ব্রিজ দিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। বাইরের জেলা থেকে দলীয় লোকজন সকাল থেকেই শিয়ালদহ স্টেশনে আসতে শুরু করে দিয়েছিলেন। ফলে স্টেশনেও ভিড়ের একই ছবি ধরা পড়েছে। শিয়ালদহ থেকে মৌলালি এবং এসএন ব্যানর্জি রোড হয়ে ব্রিগেড যায় সেই মিছিল।
এ দিন আর একটি মিছিল শিয়ালদহ স্টেশন থেকে বৌবাজার স্ট্রিট-চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ ও জওহরলাল নেহেরু রোড হয়ে ব্রিগেড ময়দানে পৌঁছয়।
উত্তরের মতো দক্ষিণের একটি মিছিলটি বালিগঞ্জ স্টেশন থেকে গড়িয়াহাট, দেশপ্রিয় পার্ক-শরত্ বসু রোড-এলগিন রোড-জওহরলাল নেহেরু রোড, বিড়লা তারামণ্ডল হয়ে এগোয় সমাবেশের দিকে। টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপো থেকে অপর মিছিল দেশপ্রাণ শাসমল রোড, এসপি মুখার্জি রোড, হাজরা মোড়, আশুতোষ মুখার্জি রোড ও জওহরলাল নেহরু রোড হয়ে ব্রিগেডে পৌঁছয়। ডায়মণ্ড হারবার রোডের মিছিলটি খিদিরপুর মোড় হয়ে খিদিরপুর রোড ধরে এগিয়েছে ব্রিগেড ময়দানের দিকে।
পার্ক সার্কাস ময়দান থেকে এ জে সি বোস রোড বিড়লা তারামণ্ডল হয়ে ব্রিগেডে ঢোকে অন্য একটি মিছিল।
সমাবেশ শুরুর আগে ধর্মতলা চত্বর থেকে শুরু করে ডোরিনা ক্রসিং, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ, এস এন ব্যানার্জি রোড-সহ চৌরঙ্গি এলাকা কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। পুলিশের দাবি সত্ত্বেও দক্ষিণগামী প্রায় সমস্ত গাড়িই সে সময় আটকে পড়ে ধর্মতলা এলাকায়। ফলে যানজটে নাকাল হয়েছেন শহরবাসীর একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy