মঙ্গলবার রাতে হাওড়ার বেলিলিয়াস রোড থেকে গ্রেফতার করা হয় জাহিদ আনোয়ার নামে ওই অভিযুক্তকে। প্রতীকী ছবি।
রীতিমতো ছক কষে এবং একাধিক বার ‘রেকি’ করার পরেই ১৭ লক্ষ টাকা লুট করেছিল রাজ্য পুলিশের ডিজি-র বাংলোর নিরাপত্তারক্ষী-সহ তিন জন। এই ঘটনায় তৃতীয় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার পরে এমনই তথ্য উঠে এসেছে লালবাজারের হাতে। মঙ্গলবার রাতে হাওড়ার বেলিলিয়াস রোড থেকে গ্রেফতার করা হয় জাহিদ আনোয়ার নামে ওই অভিযুক্তকে। সে এক আত্মীয়ের বাড়িতে লুকিয়ে ছিল। এর আগে এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ডিজি-র বাংলোর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রক্ষী মহম্মদ শাহজাহানকে গ্রেফতার করেছিল লালবাজার। ধরা হয়েছিল রাজ্য পুলিশের আর এক কনস্টেবল প্রবীণ প্রসাদকেও। পুলিশি হেফাজত শেষে বুধবার ওই দুই পুলিশকর্মী এবং জাহিদকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের তিন দিনের পুলিশি হেফাজত দেন।
ডাকাতির ঘটনাটি ঘটেছিল গত ২৭ এপ্রিল। পার্ক স্ট্রিট উড়ালপুলে এক ব্যবসায়ীর মোটরবাইক আটকে নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দেয় শাহজাহান ও প্রবীণ। এর পরে ওই ব্যবসায়ী এবং তাঁর সঙ্গীকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় তারা। সেখানে পুলিশের পরিচয়পত্র দেখিয়ে অভিযোগকারীর ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। ওই ব্যবসায়ীর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে শাহজাহান ও প্রবীণকে ধরে পুলিশ। নবান্ন সূত্রের খবর, ওই দুই অভিযুক্তকে সাসপেন্ড করে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।
তদন্তকারীরা জানান, ধৃত জাহিদের সঙ্গে পরিচয় ছিল অভিযোগকারী ব্যবসায়ীর। তিনি ভবানীপুর থেকে কখন হাওড়ায় টাকা নিয়ে যাবেন, তা জানত জাহিদ। অন্য দিকে, সে শাহজাহানের বাল্যবন্ধু। কম সময়ে মোটা টাকা হাতানো যাবে এবং তা কালো টাকা, তাই অভিযোগ হবে না— এমনই অনুমান করে দু’জনে ডাকাতির পরিকল্পনা করে। সঙ্গে নেয় প্রবীণকে। এক তদন্তকারী জানান, ওই ব্যবসায়ী কখন টাকা নিয়ে বেরোবেন, কোন রাস্তায় যাবেন, তাঁর ছবি— সব জাহিদ পৌঁছে দিয়েছিল শাহজাহানকে। সেই মতো দু’দিন ওই ব্যবসায়ীর পিছু নিয়ে, পার্ক স্ট্রিট উড়ালপুল পর্যন্ত গিয়ে ‘রেকি’ করে এসেছিল শাহজাহান।
ঘটনার দিন জাহিদের দেওয়া তথ্যের উপরে ভিত্তি করে উড়ালপুলে অভিযোগকারীর বাইক আটকায় শাহজাহান ও প্রবীণ। টাকা লুট করে তারা যায় প্রেসিডেন্সি জেলের পিছনে একটি জায়গায়। সেখানে অপেক্ষা করছিল জাহিদ। সেখানে লুটের টাকা ভাগ হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত দুই পুলিশকর্মীর থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy