Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
RG Kar Medical College and Hospital Incident

আরজি কর-কাণ্ডে টালা থানার অতিরিক্ত ওসি-কে সিবিআই তলব! কাগজপত্র নিয়ে হাজির সিজিও-তে

গত শনিবার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সে দিনই গ্রেফতার হন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষও।

টালা থানা।

টালা থানা। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৩২
Share: Save:

আরজি কর-কাণ্ডে এ বার সিবিআইয়ের ডাক পেলেন টালা থানার অতিরিক্ত ওসি। মঙ্গলবার বিকেলে পল্লব বিশ্বাস নামে ওই পুলিশ আধিকারিক সিবিআইয়ের সল্টলেকের অফিস সিজিও কমপ্লেক্সে যান। অতিরিক্ত ওসি-র সঙ্গে ছিলেন তাঁর আইনজীবী। সিবিআইয়ের একটি সূত্রে খবর, বেশ কিছু কাগজপত্র নিয়ে তিনি সিজিও-তে ঢুকেছিলেন। যদিও তাঁকে কী কী নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, কোন কোন বিষয়ে কথাবার্তা হয়েছে তা জানা যায়নি।

গত শনিবার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ওই একই দিনে চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষও। তবে আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক-পড়ুয়াকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গণধর্ষণের কোনও প্রমাণ মেলেনি বলে মঙ্গলবারই শিয়ালদহ আদালতে জানিয়েছে সিবিআই। তবে এই মামলায় ধৃত আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল জেরায় সদুত্তর দিচ্ছেন না অভিযোগ তুলে তাঁদের আরও তিন দিনের জন্য হেফাজতে চায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। তার মধ্যেই টালা থানার তলব করার খবর মিলেছে। আদালতে সিবিআইয়ের দাবি, ঘটনার দিন অর্থাৎ গত ৯ অগস্ট যুবতী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর থেকে আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিতের মোবাইলে সবচেয়ে বেশি কথাবার্তা হয়েছিল, দেখা গিয়েছে কল ডিটেলসে। এ-ও অভিযোগ, বেশ কয়েকটি ‘সন্দেহজনক’ মোবাইল নম্বরে দু’জন অনেক বার কথা বলেছেন। সে বিষয়ে আরও জেরা এবং অনুসন্ধান প্রয়োজন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। টালা থানা থেকে সিসি ক্যামেরার যে হার্ড ডিস্ক উদ্ধার করা হয়েছে, সেটাও পরীক্ষা করে দেখার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছে সিবিআই।

আগেই টালা থানার প্রাক্তন ওসি-র পাশে দাঁড়িয়েছে তাঁর দফতর। সোমবার দুপুরে অভিজিতের সার্ভে পার্কের বাড়িতে গিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। সেখানে ছিলেন কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (চতুর্থ) ভি সলোমন নিশা কুমার, ডেপুটি কমিশনার (এসএসডি) যাদবপুর বিদিশা কলিতা এবং ডেপুটি কমিশনার (ইস্ট ডিভিশন) আরিশ বিলাল। ওসি নিজের কর্তব্যে গাফিলতি করেছেন, এমনটা মনে করছে না দফতর।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE