ফাইল চিত্র।
স্বাস্থ্যকর্মীদের ইতিমধ্যেই করোনার প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এ বার আগামী সপ্তাহ থেকে কলকাতা পুলিশের কর্মীদের ওই প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ শুরু হতে পারে। আজ, শনিবার স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে বৈঠকের পরেই দিনক্ষণ চূড়ান্ত হবে বলে লালবাজার সূত্রের খবর। পুলিশকর্মীদের কোথায় ডেকে ওই প্রতিষেধক দেওয়া হবে, বৈঠকে তা-ও ঠিক করা হবে। পুলিশ সূত্রের খবর, লালবাজারেই যাতে ওই প্রতিষেধক গ্রহণ কেন্দ্র তৈরি করা যায়, তার চেষ্টা হচ্ছে। বর্তমানে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ চলছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালে।
সূত্রের খবর, কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ড— দু’রকম প্রতিষেধকই দেওয়া হবে পুলিশকর্মীদের। হাওড়ার ডুমুরজলায় কলকাতা পুলিশ ট্রেনিং অ্যাকাডেমির কর্মীদের অবশ্য আজ, শনিবার থেকেই প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ শুরু হচ্ছে। লালবাজার সূত্রের খবর, এ জন্য গত ডিসেম্বরের শেষে কলকাতা পুলিশের কর্মীদের নামের তালিকা এবং তাঁদের সম্পর্কে বিশদে তথ্য নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কলকাতা পুলিশের শীর্ষ কর্তা থেকে সিভিক ভলান্টিয়ার বা হোমগার্ড— সকলেরই নাম-ঠিকানা, জন্মের তারিখ-সহ সমস্ত তথ্য রয়েছে সেই তালিকায়।
কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, বাহিনীতে কর্মরত পুলিশকর্মী থেকে সাধারণ কর্মচারী— সকলকে ওই প্রতিষেধক দেওয়া হবে। যার মোট সংখ্যা প্রায় ৩৭ হাজার। কাকে, কবে, কোথায় ওই প্রতিষেধক দেওয়া হবে, তা তাঁদের এসএমএস করে জানিয়ে দেওয়া হবে।
পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, কারা আগে প্রতিষেধক পাবেন, তা চূড়ান্ত হয়নি। মনে করা হচ্ছে, ক্ষমতার প্রতিটি স্তর থেকেই এক জন করে কর্মীকে বেছে নিয়ে প্রথম দিন ওই প্রতিষেধক দেওয়া হতে পারে।
পুলিশকর্মীরাও গত মার্চে লকডাউন ঘোষণার পর থেকে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছেন। কন্টেনমেন্ট জ়োনের বাসিন্দাদের জন্য বাজার করা থেকে কোভিডে আক্রান্তকে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া, সব কাজই করেছেন তাঁরা। আর তা করতে গিয়েই কোভিডে আক্রান্ত হয়ে কলকাতা পুলিশের ২৩ জন কর্মী-অফিসারের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ৩৪০০ কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে চার জন পুলিশকর্মী কোভিডে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy