কারখানায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে গাড়ির যন্ত্রাংশ তৈরির যন্ত্রপাতি। অভিযোগ, সেখানে গাড়ির যন্ত্রপাতির পরিবর্তে তৈরি করা হয় অস্ত্র। বিহার পুলিশের সঙ্গে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ (স্পেশাল টাস্ক ফোর্স)-এর যৌথ তল্লাশিতে মধুবনিতে সেই ‘অস্ত্র কারখানা’রই হদিস মিলল। বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে বিহারের মধুবনির খুটৌনায় একটি দোকানে তল্লাশি চালায় কলকাতা এবং বিহার পুলিশের দল। চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বহু অস্ত্র।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে মধুবনির খুটৌনা বাজারে ‘কিষাণ অটো পার্টস’ নামে একটি দোকানে যৌথ তল্লাশি চালায় বিহার এবং কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্স। তল্লাশি চালাতে গিয়ে তারা দেখে, গাড়ির যন্ত্রাংশের কারখানার আড়ালে চলছিল ছোট অস্ত্র কারখানা। এই ঘটনায় তিন জনকে আটক করা হয়। ধৃতেরা হলেন ইশতেয়াক আলম, তাঁর ভাই ইফতেকার আলম এবং তাঁদের সহযোগী রাজকুমার চৌধুরী ওরফে বিরজু। পুলিশ জানিয়েছে, ইফতেকার ওই দোকানের মালিক। বিরজু অস্ত্র তৈরিতে পারদর্শী। তাঁর নির্দেশেই চলত অস্ত্রের কারখানা। বিরজু বিহারের মুঙ্গেরের বাসিন্দা। বাকি দুই ধৃত মধুবনিরই বাসিন্দা।
ওই অস্ত্র কারখানার থেকে বহু অস্ত্রও উদ্ধার করেছে পুলিশ। তালিকায় রয়েছে, ২৪টি ৭ এমএম পিস্তল, ২৪টি ৭ এমএম পিস্তল ব্যারেল, তিনটি ৭ এমএম পিস্তল স্লাইডার, একটি যন্ত্র, একটি মাইলিং যন্ত্র, দু’টি ড্রিলিং যন্ত্র, একটি পেষাই করার যন্ত্র, একটি ঢালাইয়ের যন্ত্র এবং কাঁচামাল।
আরও পড়ুন:
খুটৌনারই আরও একটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। বাড়ির মালিক ২২ বছরের রাজুকুমার শাহ। তাঁকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বাড়ি থেকেও বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ৭ এমএম পিস্তলের ২৪টি বাট, একটি মাইলিং যন্ত্র, একটি পেষাইয়ের যন্ত্র, একটি ড্রিলিংয়ের যন্ত্র, একটি ঢালাইয়ের যন্ত্র উদ্ধার হয়েছে। পাশাপাশি, প্রচুর কাঁচামালও উদ্ধার করেছে পুলিশ। খুটৌনা থানায় অস্ত্র আইনে মামলায় দায়ের হয়েছে।