ফাইল চিত্র।
ডেঙ্গি নিয়ে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচার করতে পারবে শুধুমাত্র রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। সম্প্রতি এমন নির্দেশের পরে ডেঙ্গি সংক্রান্ত প্রচার বন্ধ রেখেছে কলকাতা পুরসভা। অথচ অভিযোগ, প্রচারের সেই কাজ করতে গিয়ে বিজ্ঞাপনে পুরসভাকেই ঠাঁই দেয়নি স্বাস্থ্য দফতর।
ডেঙ্গি প্রতিরোধে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে প্রচার এবং জনসংযোগের যে বিকল্প নেই, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশে তা আগেই বলা হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের সাম্প্রতিক নির্দেশ অনুযায়ী, ডেঙ্গি নিয়ে প্রচারের কাজ করবে শুধু তারাই। ফলে পরিকাঠামো এবং প্রচারের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা থাকলেও বর্তমানে ডেঙ্গি সংক্রান্ত প্রচার বন্ধ রেখেছে কলকাতা পুরসভা। পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের ভারপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ এ প্রসঙ্গে বলছেন, ‘‘ডেঙ্গি প্রতিরোধে বিজ্ঞাপনী প্রচারের কাজ রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর ছাড়া আর কেউ করবে না। এমনই নির্দেশ জারি করেছে তারা। তাই পুরসভা আলাদা করে কোনও প্রচার করছে না।’’
কিন্তু গোল বেধেছে স্বাস্থ্য দফতরের বিজ্ঞাপনকে ঘিরে। অভিযোগ, পুরসভার ডেঙ্গি সংক্রান্ত কাজের কোনও উল্লেখই করা হচ্ছে না সেখানে। পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, বর্তমানে স্বাস্থ্য দফতরের ডেঙ্গি-বিজ্ঞাপনে আক্রান্তদের সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে বলা হচ্ছে। কিন্তু সেখানে কোথাও পুরসভার অধীনে থাকা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির উল্লেখ থাকছে না। ফলে ডেঙ্গি হলে কোথায় যেতে হবে, তা নিয়ে জনমানসে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে দাবি পুর আধিকারিকদের একাংশের। যদিও এ প্রসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলছেন, ‘‘পুরসভা যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি চালায়, তা সরকারি স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর বাইরে তো নয়! আর বিজ্ঞাপনে আমরা বলার চেষ্টা করেছি নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কথা। তাই বিভ্রান্তির কোনও জায়গাই নেই।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, ২০১১-’১২ সালে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যুর ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছিল রাজ্য সরকার। তার পরেই ডেঙ্গি-যুদ্ধে কোমর বেঁধে নামে পুরসভা। পুর নাগরিকদের ডেঙ্গির মতো মশাবাহিত রোগ নিয়ে সচেতন করতে পুর উদ্যোগে শুরু হয় ঢালাও প্রচার, জনসংযোগ। সে সময়ে ডেঙ্গি প্রতিরোধে পুরসভার পরিকাঠামো ভাল ছিল না। তাই ডেঙ্গি-যুদ্ধে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিল পুরসভাকে। তার পর থেকে প্রতি বছরই রেডিয়ো-টিভিতে ডেঙ্গি নিয়ে নিয়মিত বিজ্ঞাপন দিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ। সেই প্রচারের অংশ হিসেবে শহরের বস্তিবাসীদের কাছে গিয়ে জমা জল, জঞ্জাল নিয়ে সচেতন করা হয়েছে, যার ছবিও দেখানো হয় বিজ্ঞাপনে।
এর মধ্যে কলকাতার ১৪৪টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মশাবাহিত রোগের চিকিৎসার পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ১৬টি বরোর প্রতিটিতে ডেঙ্গি নির্ণয়কেন্দ্রও তৈরি করেছে পুরসভা। কিন্তু অভিযোগ, সরকারি বিজ্ঞাপনে আলাদা করে এর উল্লেখ থাকছে না। ফলে ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজ অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে দাবি পুর প্রশাসনের একাংশের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy