—ফাইল চিত্র।
বারুইপুর সংশোধনাগারে বিচারাধীন বন্দির মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা হাই কোর্টে তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট দিল রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। উচ্চ আদালতে রাজ্য জানিয়েছে, বিচারাধীন বন্দির মৃত্যুর ঘটনায় আবগারি দফতরের দুই আধিকারিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলাটির শুনানি হচ্ছে। রাজ্য রিপোর্ট দেওয়ার পর বিচারপতি জানান, তদন্তকারী অফিসারদের উচিত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আরও খতিয়ে দেখা। তাতে ওই বন্দির মৃত্যুর সঠিক কারণ উঠে আসতে পারে। এ ছাড়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে ওই মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য দিতে বলেছে হাই কোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি।
২০২৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর জেল হেফাজতে থাকাকালীন মৃত্যু হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের নেপালগঞ্জের বাসিন্দা গফুর মোল্লার। পরিবারের অভিযোগ ছিল, জেলে গফুরকে প্রবল মারধর করা হয়েছে। সেই কারণেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তা নিয়ে মামলা হয় উচ্চ আদালত। গফুরের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে সিট গঠন করে দেয় হাই কোর্ট। সেই মামলায় গত ৯ ডিসেম্বর রাজ্যের কাছে তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট তলব করেছিলেন বিচারপতি। সেই নির্দেশ মেনে সোমবার রিপোর্ট জমা দেয় রাজ্য।
বেআইনি মদ বিক্রির অভিযোগে গত বছর ২৪ অগস্ট গ্রেফতার করা হয়েছিল গফুরকে। তাঁকে বিষ্ণুপুর থানার লকআপে রাখা হয়েছিল নিম্ন আদালতের নির্দেশ মতো। এর পর ২৯ অগস্ট গফুরের জেল হেফাজত হয়। ১ সেপ্টেম্বর গফুর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে বারুইপুর হাসপাতালে ভর্তি করান জেল কর্তৃপক্ষ। ২ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় গফুরের। এই মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে আগের শুনানিতে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি। তাঁর প্রশ্ন ছিল, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃতের কনুই ও হাঁটুতে ক্ষতচিহ্নের উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও কেন এক বছরেও হেফাজতে মারধরের তদন্ত হয়নি? বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, আবগারি দফতর, থানা বা সংশোধনাগার, এর মধ্যেই কোথাও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। কেন গফুরকে নিম্ন আদালতে সশরীরে হাজির করানো হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy