২০ বছর বাদে ফের প্রশাসকের হাতে গেল বিধাননগর পুর এলাকা। আজ, মঙ্গলবার বর্তমান বিধাননগর পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এ দিন থেকেই বিধাননগরের প্রশাসনিক পরিচালনার দায়িত্ব নেবেন মহকুমাশাসক তথা পুরসভার কার্যনির্বাহী আধিকারিক।
বিধাননগর-সহ সাতটি পুরসভার নির্বাচন সময়ে হয়নি। তা নিয়ে জল আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। রাজ্য সরকার বিধাননগরকে কর্পোরেশনে উন্নীত করার কাজ করছে। রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভা, মহিষবাথান সহ কিছু পঞ্চায়েত এলাকা ও বিধাননগর পুর-এলাকা নিয়ে হবে নতুন কর্পোরেশন। ভোট না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসকই বিধাননগর পুরসভার কাজ চালাবেন।
উল্লেখ্য, ১৯৬২ সাল থেকে প্রশাসনই সরাসরি পরিষেবা দেওয়ার কাজ করত। কিন্তু জনসংখ্যা বাড়তে শুরু করায় ১৯৯৫ সালে পুরসভা তৈরি হয়। তার পর থেকে বাসিন্দাদের পরিষেবা দেওয়ার কাজ মূলত কাউন্সিলরদের। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, প্রশাসকের হাতে পুরসভা পরিচালনার ভার যাওয়ায় আদতে ভুগতে হবে বাসিন্দাদেরই। কারণ, এক জন প্রশাসকের পক্ষে কাউন্সিলরদের কাজ করা কতটা যুক্তিসম্মত, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
যদিও বর্তমান তৃণমূল পুরবোর্ডের দাবি, রাজ্যের আরও কিছু পুরসভাও চালাচ্ছেন প্রশাসকেরা। সেখানে কোনও সমস্যা তৈরি হয়নি। এ ক্ষেত্রেও হবে না। যে ভাবে গত পাঁচ বছর কাজ করা হয়েছে এবং আগাম পরিকল্পনা করা আছে, তাতে বাসিন্দাদের পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রেও কোনও সমস্যা হবে না।
এ দিন বর্তমান পুরবোর্ডের কাউন্সিলরদের শেষ বৈঠক ছিল। বৈঠকের পরে বিরোধী দলনেত্রী, সিপিএমের ইলা নন্দী বলেন, ‘‘কর্পোরেশন হতেই পারে। কিন্তু সেটাই যদি পরিকল্পনায় থাকত তবে আগে কেন করা হল না?’’ বামেদের আশঙ্কা, প্রায় আড়াই লক্ষাধিক মানুষকে পরিষেবা দিতে হিমসিম খেতে হয় ২৫ জন কাউন্সিলরকে। সেই কাজ এক জন প্রশাসকের পক্ষে কখনওই সম্ভব নয়। এর জেরে প্রতি পদে বাসিন্দাদের ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হবে।
যদিও পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বড় কোনও কাজের ক্ষেত্রে সাময়িক সমস্যা দেখা দেয়। তবে এ ক্ষেত্রে পরিষেবার প্রশ্নে বাসিন্দাদের চিন্তার কোনও কারণ নেই।’’ তাঁর দাবি, দায়িত্বে না থাকলেও মানুষ কাউন্সিলরদের কাছেই যাবেন। ফলে তাঁরাও পরিষেবা দেওয়ার কাজে নিশ্চিত ভাবেই সহযোগিতা করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy