প্রতীকী ছবি।
শখেরবাজার এলাকার ফুটপাতের গর্ত থেকে শুক্রবার ভোরে যে মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছিল, তাঁকে খুন করা হয়েছিল অন্যত্র। ঘটনাস্থলের পাশে একটি মাংসের দোকানে মহিলাকে খুন করে তাঁকে গর্তে ফেলে গিয়েছিল ধৃত। এমনকি মহিলার দেহ উদ্ধারের সময়ে সেখানেই দাঁড়িয়ে ছিল অভিযুক্ত খইরুল মণ্ডল। ঘটনাস্থল থেকে যা যা জিনিস বাজেয়াপ্ত হয়েছিল, পুলিশের সেই সিজ়ার তালিকায় সাক্ষী হিসাবে সইও করেছিল সে! শনিবার রাতে খইরুলকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার তদন্তকারীরা জানান, বার বার বয়ান বদল করে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে অভিযুক্ত। তবে জেরার শেষে তাঁদের দাবি, খইরুল একাই এই কাজ করেছে।
এক তদন্তকারী অফিসার জানাচ্ছেন, ঘটনার রাতে রাস্তার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে খইরুলকে দেখা গিয়েছিল। অত রাতে সে কী করছিল, তা জিজ্ঞাসা করতেই অভিযুক্তের কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে। এক অফিসার জানান, ওই রাতে মহিলার সঙ্গে খইরুলকে দেখা গিয়েছিল। এর পরেই তাকে চেপে ধরায় সে খুনের কথা স্বীকার করে। তবে প্রথমে খইরুল পুলিশকে জানিয়েছিল, একটি পরিত্যক্ত বহুতলের একতলায় ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে।
ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জেনেছে, রাত দুটো থেকে তিনটের মধ্যে খুনের ঘটনাটি ঘটে। মহিলাকে কোনও অছিলায় মাংসের দোকানে ঢুকিয়ে যৌন হেনস্থা করতে গিয়েছিল ওই দোকানেরই কর্মী খইরুল। সেই সময়ে মহিলা বাধা দেন। তখনই সে রাগের মাথায় মহিলাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে।
ধৃতকে রবিবার আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক আগামী ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। আদালতে পুলিশ জানায়, ঘটনার পরে বাজেয়াপ্ত করা জিনিসের তালিকায় সই করেছে অভিযুক্ত।
সরকারি কৌঁসুলি সৌরীন ঘোষাল জানান, ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পুলিশকে বিভ্রান্ত করে গিয়েছে খইরুল। হরিদেবপুরের বাসিন্দা ওই মহিলার দেহের ময়না-তদন্তে জানা গিয়েছিল, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। তদন্তকারীরা জানান, ঘটনাস্থলের আশপাশে যাঁরা থাকেন, তাঁদের তালিকা তৈরি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। খইরুলকেও তেমন ভাবেই জেরা করা হয়। কিন্তু সে গোটা পর্বে নিরুত্তাপ ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy