উচ্ছ্বাস: স্কুলের প্রাক্তনীর নোবেল জয়ে অভিনন্দন-বার্তা পড়ুয়াদের। মঙ্গলবার, সাউথ পয়েন্টে। ছবি: রণজিৎ নন্দী
সাধারণত শিক্ষক-শিক্ষিকারাই লেখেন ক্লাসের ব্ল্যাকবোর্ডে। তবে মঙ্গলবার বিকেলে স্কুলের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা লিখল। সাউথ পয়েন্টে ক্লাসরুমের ব্ল্যাকবোর্ডে চক দিয়ে বড় বড় করে ছাত্রছাত্রীরা লিখল ‘কনগ্র্যাচুলেশনস! অভিজিৎ বিনায়ক ব্যানার্জি’।
পুজোর ছুটির পরে মঙ্গলবারই স্কুলে ক্লাস শুরু হয়েছে। এ দিন স্কুলে এসে বেশির ভাগ ছেলেমেয়েদের মধ্যে আলোচনা চলেছে তাদের স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র নোবেল জয়ী অভিজিৎ বিনায়ককে নিয়েই। অনেকে আবার তাদের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে জানতে চেয়েছে যে অভিজিৎ বিনায়ক স্যর কলকাতায় এলে তাঁর নিজের স্কুল সাউথ পয়েন্টে এক বার আসবেন তো?
সোমবার অভিজিৎ বিনায়কের নোবেল পুরস্কার পাওয়ার খবরের পরে সন্ধ্যায় স্কুলে এসেছিলেন স্কুলের প্রিন্সিপাল রূপা সান্যাল ভট্টাচার্য-সহ কয়েক জন শিক্ষিক-শিক্ষিকা ও স্কুলের কয়েক জন আধিকারিক। এসেছিলেন অভিজিৎ বিনায়কের সহপাঠী শর্মিলা দে সরকার। তিনি এখন ওই সাউথ পয়েন্টেরই শিক্ষিকা। শর্মিলাদেবী মঙ্গলবার বলেন, ‘‘স্কুলের সবাই তো কালই জেনে গিয়েছিল অভিজিতের নোবেল পুরস্কার পাওয়ার খবর। আজ স্কুলে আসতেই ছাত্রছাত্রীরা আমাকে ঘিরে ধরে শুনতে চাইছে আমার সহপাঠী অভিজিতের গল্প। শুনতে চাইছে আমার দেখা অভিজিতের সেই ছাত্রজীবনের কথা। আমিও ক্লাসে গিয়ে যতটা পেরেছি পড়ানোর আগে অভিজিতের গল্পই বলেছি।’’
এ দিন সাউথ পয়েন্টের দ্বাদশ শ্রেণির যে ঘরের ব্ল্যাকবোর্ডে একাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা লিখে রেখেছিল ‘কনগ্র্যাচুলেশনস! অভিজিৎ বিনায়ক ব্যানার্জি’, সেই ঘরে বসে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র অনমিত্র নন্দী বলে, ‘‘আমি যে ঘরে বসে রয়েছি হয়তো এই ঘরেই ক্লাস করেছেন নোবেলজয়ী। ভাবতেই রোমাঞ্চ হচ্ছে।’’ অনমিত্র বলে, ‘‘যদি কোনওদিন দেখা করার সুযোগ হয়, তা হলে আমি অভিজিৎ বিনায়ক স্যরকে জিজ্ঞাসা করব কবে, কী ভাবে তাঁর অর্থনীতির উপরে উৎসাহ তৈরি হয়েছিল। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে স্যর কত ক্ষণ পড়াশোনা করতেন সেটাও জিজ্ঞাসা করব ওঁকে।’’
ওই ক্লাসেরই ঋদ্ধি পাল, সত্যম ঘোষেরাও বলে, ‘‘অভিজিৎ স্যরকে দশ মিনিটের জন্য পেলেও কত
কিছু প্রশ্ন করার আছে। ওঁর কাছে জানতে চাইব সময়ের ঠিক ব্যবহার করে কী ভাবে পড়াশোনা করতে হয়।’’ সত্যম ঘোষ নামে এক ছাত্র আবার বলে, ‘‘ওঁর বেশ কিছু লেখা আমি পড়েছি। ওঁর লেখার কয়েকটি জায়গা আমি ঠিক বুঝতে পারিনি। স্যরের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেলে সেই না বোঝা জায়গাগুলো সম্পর্কেও জেনে নেব।’’
স্যরের সঙ্গে দেখা করার আশায় এখন দিন গুনছে সাউথ পয়েন্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy