মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমে এমনই তথ্য এসেছে পুলিশের হাতে। প্রতীকী ছবি।
কয়েক মাস ধরে জুতোর ব্যবসায় লোকসানের বহর বাড়ছিল মালিকের। গাফিলতির কারণে নষ্ট হচ্ছিল জুতো তৈরির বহু সরঞ্জাম। এর সঙ্গে মালিকের আরও অভিযোগ ছিল, কারখানার কর্মীরা ঠিক মতো কাজ করেন না। সব মিলিয়ে সেই রাগ গিয়ে পড়ে কারখানায় যিনি শ্রমিক সরবরাহ করতেন, সেই ব্যক্তির উপরে। যা নিয়ে মিতেন্দ্র পাসোয়ান নামে ওই শ্রমিকের সঙ্গে বচসা বাধে কারখানার মালিক মহম্মদ আকিব হোসেনের। বচসা চলাকালীন মিতেন্দ্রকে বেধড়ক মারধর করে আকিব। তাঁর উপরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলাও চালায় সে। রক্তাক্ত অবস্থায় মিতেন্দ্রকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
গত শনিবার তপসিয়ার একটি জুতো কারখানার কর্মী মিতেন্দ্রর মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমে এমনই তথ্য এসেছে পুলিশের হাতে। ধৃত আকিবের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে আকিব স্বীকার করেছে, ব্যবসায় লোকসানকে কেন্দ্র করেই এই বিবাদ। তবে ধারালো অস্ত্রটি সে কোথা থেকে পেল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আকিবকে জেরা করে পুলিশ জেনেছে, তপসিয়ার ওই জুতো কারখানায় কাজ করার পাশাপাশি সেখানে দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিক সরবরাহ করতেন পঞ্চান্নগ্রামের বাসিন্দা মিতেন্দ্র। কিন্তু সম্প্রতি কয়েক জন শ্রমিকের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আকিব। সে মিতেন্দ্রর কাছে অভিযোগ করে, ওই শ্রমিকেরা ঠিক মতো কাজ করতে পারছেন না। তাঁদের বদলে যেন নতুন শ্রমিক পাঠানো হয়। এই নিয়ে তিক্ততা বাড়ছিল দু’জনের মধ্যে।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সকালে কারখানার একটি যন্ত্র নষ্ট হয়ে যাওয়ার সূত্র ধরে আকিব ও মিতেন্দ্রর মধ্যে বচসা বাধে। তদন্তকারীদের অনুমান, সেই সময়েই ধারালো অস্ত্র নিয়ে মিতেন্দ্রর উপরে চড়াও হয় আকিব। তবে দু’জনের মধ্যে পুরনো কোনও শত্রুতা ছিল কি না, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘শুধু বচসার জেরে এই খুন, না কি এর পিছনে পুরনো শত্রুতাও রয়েছে, সে সব দেখা হচ্ছে। ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy