মহম্মদ শাহনওয়াজ আলম।
রাতের শহরে ফের বেপরোয়া গতির বলি হলেন এক মোটরবাইক চালক। কন্টেনারবাহী একটি ট্রেলারের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন বাইকের অপর আরোহী।
হাসপাতালে তাঁর একটি হাত অস্ত্রোপচার করে বাদ দিতে হয়েছে। পুলিশ ট্রেলারটি আটক করলেও সেটির চালক পলাতক।
পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতের নাম মহম্মদ শাহনওয়াজ আলম (৪৪)। তিনি ওয়াটগঞ্জ থানা এলাকার কবিতীর্থ সরণির বাসিন্দা ছিলেন। রবিবার রাত পৌনে ২টো নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে ওই থানা এলাকারই কার্ল মার্ক্স সরণি ও রামকমল স্ট্রিটের সংযোগস্থলে। বেপরোয়া ট্রেলারের ধাক্কায় ভেঙে যায় রাস্তার ধারের রেলিংও। ঘটনাস্থলেই মারা যান শাহনওয়াজ। অপর আরোহী মেহমুদ আলমকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। সেখানে অস্ত্রোপচারে তাঁর হাত বাদ দিতে হয়। শাহনওয়াজ হেলমেট পরেই বাইক চালাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শাহনওয়াজের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি খিদিরপুরের কাছে ফুটপাতে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। রবিবার রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে কাপড় কিনতে মেটিয়াবুরুজ যাচ্ছিলেন। সেই সময়ে ঘটে দুর্ঘটনা। শাহনওয়াজের ভাই মহম্মদ ওয়াসিম আক্রম বলেন, ‘‘দাদা খুব সতর্ক ভাবে বাইক চালাতেন। রবিবার রাতে ব্যবসার জন্য কাপড় কিনতে বেরিয়েছিলেন। সাধারণত অত রাতে দাদা বেরোতেন না। রবিবার কেন বেরিয়েছিলেন, জানি না। দুর্ঘটনাস্থলেই ট্রেলারটি দাদাকে পিষে দেয়।’’
ঘটনার পরে স্থানীয় মানুষ রাতের শহরে, বিশেষত বন্দর এলাকায় বেপরোয়া ভাবে লরির চলাচল নিয়ে সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, অধিকাংশ সময়ে লরিচালকেরা মত্ত অবস্থায় অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালান। এমনকি, তাঁরা সব সময়ে সিগন্যালও মানতে চান না। এর জেরে বন্দর এলাকায় আগেও একাধিক প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানায়, ট্রেলারটির চালকের খোঁজ চলছে। কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অন্য দিকে, সোমবার মেয়ো রোডের কাছে বেপরোয়া গতিতে চলতে গিয়ে একটি ট্যাক্সি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথ-বিভাজিকায় ধাক্কা মারে। ট্যাক্সিতে চার জন যাত্রী ছিলেন। তবে কারও তেমন আঘাত লাগেনি। পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy