আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে পথে চিকিৎসকেরা। ছবি: সারমিন বেগম।
দুপুর আড়াইটে থেকে প্রায় সাড়ে চারটে পর্যন্ত স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠক করল জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দল। তবে সেই বৈঠক ইতিবাচক নয়, স্বাস্থ্য ভবন থেকে বেরিয়ে স্পষ্ট জানালেন আন্দোলনকারীরা। সন্দীপ ঘোষের বদলির সিদ্ধান্ত বাতিল-সহ চার দফা দাবি জানিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকদের ডেপুটেশন জমা দেন তাঁরা। কিন্তু সেই দাবি মানতে গড়িমসি করছে স্বাস্থ্য দফতর, এমনই অভিযোগ তুললেন চিকিৎসকেরা। স্বাস্থ্য ভবন থেকে বেরিয়ে জানালেন, বৈঠকে তাঁরা হতাশ। আন্দোলনারীদের কথায়, ‘‘আমরা প্রথম দিন থেকে স্বাস্থ্য ভবনের কাছে কয়েকটা দাবি জানিয়ে আসছি। এখানে আমরা বিচার চাইতে আসিনি। আদালতের নির্দেশে তদন্ত চলছে। বৃহস্পতিবার সিবিআইকে উত্তর দিতে বলেছে। তবে আমরা স্বাস্থ্য ভবনে এসেছিলাম কিছু নির্দিষ্ট দাবি নিয়ে। আমরা এক ঘণ্টা সময় দিয়েছিলাম। কিন্তু ওনারা মৌখিক ভাবে জানিয়েছেন বিষয়টা ভেবে দেখবেন। কোনও আশ্বাস পায়নি। আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।’’
আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বদলি সংক্রান্ত যে নির্দেশ স্বাস্থ্য ভবন দিয়েছিল, তা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছিল আন্দোলনকারীদের তরফে। উল্লেখ্য, আরজি কর থেকে সরিয়ে সন্দীপকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ করা হয়। যদিও আদালতের হস্তক্ষেপের পর তিনি এখন ছুটিতে রয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, আরজি করের মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের সময় হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদেরও অপসারণের দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি, ১৪ অগস্ট আরজি করে ভাঙচুরের ঘটনাও বুধবারের বৈঠকে উঠে এসেছে। সে দিন হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদেরও অপসারণের দাবি তোলা হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, ভাঙচুরের ঘটনার পর থেকেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ সুহৃতা পাল হাসপাতালে আসছেন না। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তাঁরও অপসারণের দাবি উঠেছে। এখন দেখার চিকিৎসকদের আন্দোলনের রূপরেখা কী হয়।
প্রতিনিধি দল যখন ভিতরে যায়, তখন বাকি চিকিৎসকেরা স্বাস্থ্য ভবনের বাইরে অবস্থানে বসলেন। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার কাছেই চিকিৎসকেরা ডেপুটেশন জমা দেবেন বলেই খবর।
চিকিৎসকদের একটি ৩৫ জনের প্রতিনিধি দল স্বাস্থ্য ভবনের ভিতরে গেল। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েকের সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
স্বাস্থ্য ভবনে গিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলবে চিকিৎসকদের এক প্রতিনিধি দল। কারা সেই দলে থাকবেন তা ঠিক হয় স্বাস্থ্য ভবনের সামনে। সেই দলে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রতিনিধিরাই বেশি থাকছেন। অন্যন্য়া মেডিক্যাল কলেজের কয়েক জনও রয়েছেন প্রতিনিধি দলে। এই দলে ৩০ থেকে ৩৫ জন সদস্য থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য ভবনের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করার দাবি জানালেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের প্রতিনিধি দল স্বাস্থ্য ভবনে ভিতরে গিয়ে ডেপুটেশন জমা দিতে চায়। মিছিল থেকে ঘোষণা করা হচ্ছে, ‘‘অনেকে আমরা একসঙ্গে এসেছি। আমরা প্রথম থেকেই শান্তিপূর্ণ মিছিল করেছি। এখনও শান্তিপূর্ণ ভাবে সব করতে চাই।’’
স্বাস্থ্য ভবনের বাইরে পুলিশি নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। মিছিল প্রায় স্বাস্থ্য ভবনের সামনে পৌঁছে গিয়েছে। পুলিশের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যাচ্ছে আন্দোলনকারীদের।
চিকিৎসকেরা একে অপরের হাত ধরে এগিয়ে চলেছেন স্বাস্থ্য ভবনের দিকে। উইপ্রো মোড়ের সামনে পৌঁছেছেন আন্দোলনকারীরা। এখনও পর্যন্ত মিছিল আটকায়নি পুলিশ।
সিজিও কমপ্লেক্স থেকে শুরু হওয়া চিকিৎসকদের মিছিল করুণাময়ী মোড়ের সামনে পৌঁছেছে। তার পর সেই মিছিল এগিয়ে যাচ্ছে স্বাস্থ্য ভবনের দিকে।
দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিট নাগাদ চিকিৎসকদের মিছিল সেন্ট্রাল পার্কে সামনে পৌঁছয়। সেখান থেকে মিছিল এগিয়ে চলেছে স্বাস্থ্য ভবনের দিকে।
বিকাশ ভবন পেরিয়ে ১২টা ৫০ মিনিট নাগাদ চিকিৎসকদের মিছিল ময়ূখ ভবনে পৌঁছয়। তার পর সেখান থেকে সেই মিছিল ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে স্বাস্থ্য ভবনের দিকে।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের নতুন অধ্যক্ষ সুহৃতা পালের পদত্যাগের দাবি। অভিযোগ, নিরাপত্তা-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করা যাচ্ছে না। কারণ তিনি আরজি করে আসছেন না। স্বাস্থ্য় ভবন থেকে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।
মিছিল করে স্বাস্থ্য ভবনে পৌঁছে আন্দোলনকারীরা স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে চান। তাঁদের হাতে ডেপুটেশন জমা দিতে চান তাঁরা।
সিজিও কমপ্লেক্স থেকে শুরু হয় জুনিয়র চিকিৎসকদের মিছিল। কিছু ক্ষণ পরেই সেই মিছিল বিকাশ ভবন পেরিয়ে স্বাস্ব্য ভবনের দিকে এগিয়ে চলেছে। সময় যত এগোচ্ছে মিছিলের দৈর্ঘ্যও তত বেড়েছে।
সাড়ে ১২টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিল শুরু করলেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের গন্তব্য স্বাস্থ্য ভবন। মিছিলের শুরুতেই রয়েছেন আরজি করের চিকিৎসকেরা।
সন্দীপ ঘোষকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের পদ থেকে সরিয়ে দেয় স্বাস্থ্য ভবন। তাঁর জায়গায় আনা হয় সুহৃতা পালকে। কিন্তু আরজি করের আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের দাবি, এখনও সুহৃতাকে হাসপাতালে দেখা যায়নি। তাই বুধবারের মিছিলে আন্দোলনকারীদের হাতে ‘নিখোঁজ অধ্যক্ষ’ লেখা পোস্টারও দেখা যাচ্ছে।
সিজিওর বাইরে যেমন বিধাননগর পুলিশ ব্যারিকেড তৈরি করেছে, তেমনই ভিতরের নিরাপত্তাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। সিজিওর ভিতরে নিরাপত্তার দায়িত্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
‘বিচার চাই’, পোস্টার-ব্যানার হাতে জড়ো হচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। চিকিৎসক পড়ুয়ারাও মিছিলে যোগ দেওয়ার উদ্দেশে সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে ভিড় করেছেন। সকলের মুখে স্লোগান।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে আরজি কর-কাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। আন্দোলনকারীদের দাবি, সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়ায় গতি আনা হোক। ঘটনার বেশ কয়েক দিন কেটে গিয়েছে। তদন্ত এখন কোন পর্যায়ে তা-ও জানানোর দাবি উঠছে জমায়েত থেকে। সিজিও কমপ্লেক্স থেকেই যে হেতু সিবিআই তদন্ত করছে, তাই বুধবার সেখান থেকেই জমায়েত শুরুর সিদ্ধান্ত জুনিয়র চিকিৎসকদের।
সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ এলাকা। রয়েছে মহিলা পুলিশও। সিজিওর বাইরে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে।
সকাল ১১টা থেকেই সিবিআই দফতরের সামনে জমায়েত শুরু করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। শুধু তাঁরা নয়, বহু সিনিয়র চিকিৎসকও এসেছেন মিছিলে হাঁটার জন্য। ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের ডাকা কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়েছে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy