প্রতীকী ছবি।
পরীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু যে কলেজে সিট পড়েছে, গাড়ি নিয়ে কিছুতেই সেই কলেজ খুঁজে পাচ্ছিলেন না হাওড়ার সাঁকরাইলের বাসিন্দা, কলেজপড়ুয়া আকৃতি গুপ্ত। চালকের যখন দিশাহারা অবস্থা, তখন ওই ছাত্রীর সাহায্যে এগিয়ে আসেন ট্র্যাফিক পুলিশের এক অফিসার। তাঁর তৎপরতায় সময়ের মধ্যে কলেজে পৌঁছে পরীক্ষায় বসতে পারেন আকৃতি।
সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে নিউ আলিপুর কলেজে। সেখানকার অধ্যক্ষ জয়দীপ ষড়ঙ্গী জানান, এ দিন তাঁদের কলেজে তৃতীয় বর্ষের বিএ জেনারেলের পরীক্ষার সিট পড়েছিল ভবানীপুর এডুকেশন সোসাইটির ছাত্রী আকৃতির। জয়দীপবাবু বলেন, ‘‘মেয়েটি জানিয়েছে, সকাল ৮টা নাগাদ সে গাড়ি করে মায়ের সঙ্গে বেরোয়। কোনও ভাবে চালক রাস্তা গুলিয়ে ফেলেন। শেষে টালিগঞ্জ ট্র্যাফিক গার্ডের অতিরিক্ত ওসি পুলকেশ চৌধুরী ওকে পৌঁছে দেন। তাঁর জন্যই মেয়েটি পরীক্ষায় বসতে পারল।’’
পুলকেশবাবু জানান, তিনি সকাল ১০টা নাগাদ আলিপুর থানা এলাকার বর্ধমান রোডে ডিউটি করছিলেন। হঠাৎ চোখে পড়ে, এক কলেজছাত্রী গাড়িতে বসে কান্নাকাটি করছেন। ওই ছাত্রী জানান, তাঁর সাংবাদিকতার পরীক্ষা রয়েছে। ১০টা থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে পরীক্ষা। তাঁর সিট পড়েছে নিউ আলিপুর কলেজে। কিন্তু কলেজ খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি। পুলকেশবাবু বলেন, ‘‘ওই গাড়ির চালককে বলি আমার গাড়ির পিছনে গাড়ি নিয়ে আসতে। ১০টা ৪০ নাগাদ কলেজে পৌঁছে যাই।’’ অধ্যক্ষ জয়দীপবাবু জানান, পরীক্ষা শুরুর পরে এক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে কাউকে বসতে দেওয়ার নিয়ম নেই। কিন্তু সেই সময়ের মধ্যেই আকৃতি পৌঁছে যাওয়ায় তাঁকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy