Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Life Imprisonment

খুনের ঘটনায় মেয়ের সাক্ষ্যে ১৩ বছর পরে বাবার যাবজ্জীবন

পুলিশ জানিয়েছে, ২০১০ সালের ৩ মার্চ কাশীপুর থানা এলাকার কাশীপুর রোডে খুনের ঘটনাটি ঘটে। মৃতার নাম সালমা বিবি।

An image of jail

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:৩৮
Share: Save:

মায়ের মৃত্যুর মামলায় যখন মেয়ে সাক্ষ্য দিয়েছিল, তার বয়স ছিল সাত। ১৩ বছর পরে সেই মামলার রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল তার বাবার।

মঙ্গলবার এই সাজা শোনান শিয়ালদহের দ্বিতীয় ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক। যাবজ্জীবনের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। অনাদায়ে আরও ছ’মাস কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আদালত সূত্রের খবর, সাজাপ্রাপ্তের নাম শেখ শাহিদ। স্ত্রীকে খুনের মামলায় সোমবার আদালত শাহিদকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। জামিনে ছাড়া পাওয়া ওই ব্যক্তিকে ফের জেল হেফাজতে পাঠান বিচারক। পুলিশের দাবি, এই সাজার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছে ঘটনার সময়ে সাত বছরের ওই মেয়ের সাক্ষ্য।

পুলিশ জানিয়েছে, ২০১০ সালের ৩ মার্চ কাশীপুর থানা এলাকার কাশীপুর রোডে খুনের ঘটনাটি ঘটে। মৃতার নাম সালমা বিবি। ঘটনার তিন মাসের মাথায় তদন্তকারী অফিসার হরিদাস বৈদ্য শাহিদকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। তাতে উল্লেখ করা হয়, ঘটনার দিন বাড়িতে রান্না করছিলেন সালমা। সেই সময়ে মত্ত অবস্থায় বাড়িতে এসে স্ত্রীর সঙ্গে গোলামাল শুরু করে শাহিদ। তারই মধ্যে সে স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। পুলিশ জানায়, ঘটনার সাক্ষী ছিল দম্পতির সাত বছরের মেয়ে। সে তখন ঘরে পড়াশোনা করছিল। তার চোখের সামনেই সালমার গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় শাহিদ। প্রতিবেশীরাই ওই মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় তাঁর।

উল্লেখ্য, ঘটনার পরে শাহিদ পুলিশের কাছে দাবি করেছিল, স্টোভ ফেটে ওই ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু, সাত বছরের মেয়ের বয়ানে তদন্তকারীরা আসল ঘটনা জানতে পারেন। প্রসঙ্গত, ওই বালিকা পরে আদালতে গোপন জবানবন্দিও দিয়েছিল।

দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া চলে। সালমার প্রতিবেশীরাও সাক্ষ্য দেন আদালতে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাত বছরের ওই বালিকাও সাক্ষ্য দেয়। তার সাক্ষ্যই শাহিদের সাজার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেয়। এক পুলিশ অফিসার জানান, ঘটনার দিন বা তার আগে সালমার উপরে শাহিদ যে অত্যাচার করেছিল, তা এলাকাবাসীরাই আদালতে জানিয়েছিলেন।

অন্য বিষয়গুলি:

Life Imprisonment punishment Murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy