Advertisement
E-Paper

হস্টেল থেকে ডাক্তারি ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রী নিবাসে প্রত্যেকে আলাদা ঘরে থাকেন। তাঁদের ঘরের বারান্দা দিয়ে এক ঘর থেকে অন্য ঘরে যাওয়া যায়। এ দিন সকালে মেয়েকে ফোন করেন ওই ছাত্রীর মা।

A Photograph of

পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৩ ০৭:১৬
Share
Save

ছাত্রী আবাস থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হল এক ডাক্তারি পড়ুয়ার দেহ। তাঁকে ওই হাসপাতালেই নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। মৃত্যুর কারণ জানতে দেহটি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম যতি গর্গ (২২)। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে, ঠাকুরপুকুর থানা এলাকার জোকা ইএসআই হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজের মহিলা ছাত্রী আবাসে। সেখানকার দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন ওই তরুণী। থাকতেন ১২ তলায়, ছাত্রী আবাসের একটি ঘরে। তাঁর বাড়ি উত্তরপ্রদেশের আগ্রায়। পুলিশ এবং হাসপাতালের তরফে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। ওই ঘর থেকে হিন্দিতে লেখা একটি নোট উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের দাবি, সেখানে ওই ছাত্রী পড়াশোনার চাপে আত্মঘাতী হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রী নিবাসে প্রত্যেকে আলাদা ঘরে থাকেন। তাঁদের ঘরের বারান্দা দিয়ে এক ঘর থেকে অন্য ঘরে যাওয়া যায়। এ দিন সকালে মেয়েকে ফোন করেন ওই ছাত্রীর মা। কিন্তু ফোন বেজে যাওয়ায় অন্য এক ছাত্রীকে ফোন করে দেখতে বলেন। তখন অন্য আবাসিকেরা ছাত্রীর দরজায় ধাক্কা দিলেও তা খোলেনি। এর পর তাঁরা বারান্দার দিক থেকে জানলা দিয়ে ছাত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর দেওয়া হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং ঠাকুরপুকুর থানায়।

পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বাইরে থেকে মৃতের শরীরের কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই বলেই পুলিশ জানিয়েছে। এক পুলিশকর্তা জানান, ওই ছাত্রীর মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে। কার সঙ্গে শেষ বার তিনি কথা বলেছিলেন, সেই খোঁজ করা হচ্ছে। ছাত্রীর মধ্যে কোনও অস্বাভাবিক আচরণ অন্য আবাসিকেরা দেখেছিলেন কি না, তারও খোঁজ চলছে।

ওই ইএসআই হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে অস্থিরোগ বিভাগের প্রধান চিকিৎসক তথা ডিন সঞ্জয় কেশকার বলেন, ‘‘ওই ছাত্রী মেধাবী ছিলেন। শেষ পরীক্ষাতেও দশম স্থানে ছিলেন। কেন এমন ঘটল, অবসাদ ছিল কি না, সেটা বুঝতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Mysterious death Girls hostel Medical Student

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}