আরজি কর হাসপাতালে হামলার পর দুষ্কৃতীদের ছবি প্রকাশ করেছিল কলকাতা পুলিশ। —ফাইল চিত্র।
আরজি করে হামলার ঘটনায় যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছিল, বুধবার তাঁদের জেল হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধি পেল। শিয়ালদহ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁদের জেল হেফাজতেই থাকতে হবে। বুধবার এই নির্দেশের পর আদালত চত্বরে বিক্ষোভ দেখান ধৃতদের পরিবারের সদস্যেরা।
আরজি করে হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছে। সমাজমাধ্যমে আরজি করে হামলার মুহূর্তের ছবি দেখিয়ে হামলাকারীদের চিহ্নিত করেছিল পুলিশ। সাধারণ মানুষের কাছেও তাঁদের চিহ্নিত করার জন্য সাহায্য চাওয়া হয়েছিল। সমাজমাধ্যমে সাহায্যের সূত্রে অনেককেই গ্রেফতার করা হয়।
আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে গত ১৪ অগস্ট ‘রাতদখল’ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল। মহিলারা ওই দিন রাতে পথে নেমেছিলেন। কলকাতার রাস্তায় সে দিন ছিল থিকথিকে ভিড়। আরজি কর-কাণ্ডের বিচার চেয়ে জমায়েত হয়েছিল রাস্তার মোড়ে মোড়ে। রাত যত বেড়েছে, ভিড়ও ততই বেড়েছিল। কিন্তু ওই দিনের কর্মসূচির সুযোগ নিয়ে আরজি কর হাসপাতালে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। এক দল দুষ্কৃতী ভিড়ের মধ্যে হাসপাতালে প্রবেশ করে এবং জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্নামঞ্চে ভাঙচুর চালায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগেও ভাঙচুর চালানো হয়। ওই বিভাগের চার তলার সেমিনার হল থেকেই মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। অভিযোগ, দুষ্কৃতীদের উদ্দেশ্য ছিল ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রমাণ লোপাট করা। কিন্তু পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল সুরক্ষিত রয়েছে।
আরজি করের ডাক্তার, নার্সেরা অভিযোগ করেছিলেন, সে রাতে পুলিশ হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে। নিরাপত্তা দেওয়ার পরিবর্তে পুলিশও পালিয়ে বেঁচেছিল বলে অভিযোগ। আক্রান্ত হয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের ডিসি (নর্থ)।এর পরেই শুরু হয় ধরপাকড়। মোট ৪৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy