—প্রতীকী ছবি।
বছরভর মশা নিয়ন্ত্রণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল আগেই। দক্ষিণ দমদম পুরসভার দাবি, সেই মতো নাকি কাজও শুরু হয়েছে চলতি মাস থেকে। যদিও বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, ডেঙ্গির প্রকোপ থেকে এখনও মুক্ত হতে পারেনি ওই পুর এলাকা। সোমবারও সেখানে চার জন বাসিন্দা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে পুরসভা সূত্রের খবর। এই মরসুমে ডেঙ্গি এবং জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন সেখানকার প্রায় সাড়ে তিন হাজার বাসিন্দা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ ঠিক মতো হচ্ছে না। এলাকার একাধিক কারখানা, অব্যবহৃত বাড়ি, গুদাম ও জলাভূমি থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ জায়গায় মশা নিয়ন্ত্রণে অনেক বেশি জোর দিতে হবে। সমস্যার কথা মানছেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার কর্তারাও। তাঁদের বক্তব্য, ব্যক্তি মালিকানাধীন ও সরকারি জায়গায় মশা নিয়ন্ত্রণ পুরসভা করে না। তাই প্রশাসনিক কর্তাদের পাশাপাশি সাধারণ বাসিন্দাদের সচেতনতাও জরুরি। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, মেট্রো প্রকল্পের এলাকা, দমদম স্টেশন ও বিরাটি স্টেশন সংলগ্ন রেলের জমির পাশাপাশি একাধিক কারখানা চত্বরেও মশা নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। পুরসভা সূত্রের খবর, এই বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে তারা সমস্যার কথা জানিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা সৌমেন দাসের কথায়, ‘‘বহু এলাকায় মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে পুরসভা যথেষ্ট তৎপর নয়।’’
দমদম স্টেশন সংলগ্ন নাগেরবাজারমুখী রাস্তার ধারে বাজার এলাকার ছবিটা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। মশার বংশবৃদ্ধির একেবারে অনুকূল পরিবেশ সেখানে। যদিও বাসিন্দাদের অভিযোগ পুরোপুরি মানতে নারাজ পুর কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, বিভিন্ন বাজার এলাকা থেকে
শুরু করে জনবহুল স্থানে পরিচ্ছন্নতার উপরে নজর দিচ্ছে পুরসভা। পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস জানান, মশাবাহিত রোগ বৃদ্ধির কারণ নিয়ে পর্যালোচনা হচ্ছে। মশার আঁতুড়ঘর বলে পরিচিত বহু বাড়ি, কারখানা বা জমিতে পুরসভা সহজে প্রবেশ করতে পারে না। কারণ, তা পুরসভার এক্তিয়ারভুক্ত নয়। সেখানে মশা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সমস্যার কথা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy