স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হল স্বামীকে। মৃতার নাম রিনা মণ্ডল (৩৩)। বৃহস্পতিবার, কসবার একটি আবাসনে ঘটনাটি ঘটেছে।
ওই আবাসনে প্রতিদিনের মতো কাজ করতে গিয়েছিলেন রিনা। স্থানীয়দের অভিযোগ, দুপুরে হঠাৎ সেখানে গিয়ে স্ত্রীকে নীচে ডেকে পাঠিয়ে তুমুল তর্কাতর্কিতে জড়ায় স্বামী। দু’জনের মধ্যে বচসা তীব্র হতেই স্বামী হঠাৎই প্যান্টের পকেট থেকে ধারালো অস্ত্র বার করে স্ত্রীর দেহে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে। স্ত্রীর চিৎকারে আশপাশের বাসিন্দারা ছুটে যান বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। পুলিশ গিয়ে গুরুতর আহত মহিলাকে ই এম বাইপাসের ধারের একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এই ঘটনায় মৃতার স্বামী জনার্দন মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, রিনা স্বামী, পুত্র,কন্যা নিয়ে কসবার জহুরাবাজারে বাড়ি ভাড়া থাকতেন। তাঁর আদি বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে। রিনার স্বামী পেশায় রিকশাচালক। অন্যান্য দিনের মতো রিনা বৃহস্পতিবার আর কে চ্যাটার্জি রোডের একটি আবাসনে কাজে আসেন। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন দুপুর একটা নাগাদ হঠাৎ রিনাকে উপর থেকে ডেকে পাঠায় তাঁর স্বামী। স্ত্রী নামতেই তুমুল তর্কাতর্কি শুরু হয়। বচসা বাড়াবাড়ি হতেই স্বামী জনার্দন নিজের প্যান্টের পকেট থেকে ধারালো অস্ত্র বার করে স্ত্রীর শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। যার ফলে রিনার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
রিনার চিৎকারে আশপাশের মানুষ জড়ো হলে জনার্দন পালিয়ে যায়। পরে অবশ্য পুলিশ তাকে ধরে ফেলে। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, স্ত্রী অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ তুলে দম্পতির মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরে ঝামেলা চলছিল। এ দিন সেই ঝামেলাই চূড়ান্ত পর্যায়ে যায়। লালবাজার থেকে হোমিসাইড শাখার আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে যান। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ওই আবাসনের বাসিন্দাদেরও। স্ত্রীকে খুনের দায়ে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে কসবা থানার পুলিশ। যে ধারালো অস্ত্রটি দিয়ে রিনাকে কোপানো হয়েছিল, সেটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)