বাবা সন্দীপ সাউ-এর সঙ্গে নিকুঞ্জ। নিজস্ব চিত্র।
মেট্রোর কাজ চলাকালীন বুধবার সন্ধ্যায় বৌবাজারের দুর্গা পিতুরি লেনের বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা যায়। আতঙ্কের জেরে ঘর ছাড়তে বাধ্য হন অনেক পরিবার। এই ঘরছাড়া বাসিন্দাদের অনেকেরই বর্তমান ঠিকানা ক্রিক রো-এর কিউ ইন হোটেলে। এ রকমই এক জন নিকুঞ্জ সাউ। মা-বাবা এবং দাদু-ঠাকুমার সঙ্গে হোটেলের ৪০১ নম্বর রুমে ঠাঁই হয়েছে তার।
নিকুঞ্জ শিয়ালদহের সেন্ট পলস্ স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। তবে ঘর ছাড়ার কারণে পরীক্ষা দিতে পারল না ১১ বছর বয়সি নিকুঞ্জ। বৃহস্পতিবার প্রথম ইউনিট টেস্টের অঙ্ক পরীক্ষা ছিল তার। বুধবার সন্ধ্যায় প্রাণ বাঁচাতে তড়িঘড়ি ঘর ছাড়ে তার পুরো পরিবার। স্কুলের বইখাতা, জামাকাপড় কিছুই সঙ্গে নিয়ে আসতে পারেনি সে। তাই এ বারের মতো পরীক্ষা দিতে পারল না। আনন্দবাজার অনলাইনকে নিকুঞ্জ জানিয়েছে, পরীক্ষা দিতে না পারায় তার মনখারাপ। মনখারাপের জেরে বিশেষ কথা বলতেও রাজি হয়নি সে।
নিকুঞ্জের বাবা সন্দীপ সাউ পেশায় ব্যবসায়ী। দুর্গা পিতুরি লেনের ১৯ নম্বর বাড়ির মালিক সন্দীপ। নিকুঞ্জের দাদু রতনলাল সাউ-এর মধুমেহ রোগ রয়েছে। ঠাকুমা ছবি সাউ-এর চোখের সমস্যা। বুধবার ছেলে সন্দীপের সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন রতনলাল। ফিরে এসে দেখেন, বাড়িতে ফাটল। এর আগেও বাড়িতে ফাটল ধরার কারণে ৩ মাসের জন্য হোটেলে থাকতে হয়েছিল পুরো পরিবারকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy