—প্রতীকী চিত্র।
দু’বছরের সম্পর্ক। কিন্তু হঠাৎই প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ের তোড়জোড় শুরু করেছিল তাঁর পরিবার। সেই খবর পাওয়ার পরেই বাড়ির লোকজনকে রাজি করিয়ে প্রেমিকার পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠান যুবক। কিন্তু প্রেমিকার বাবা-মা বিয়েতে রাজি হয়নি। অভিযোগ, সেই অবসাদে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন যুবক। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানার ধনপতনগর মাঠপাড়ার ঘটনা।
পুলিশ সূত্রের, মৃতের নাম অপু মণ্ডল। শনিবার ওই নির্মাণ শ্রমিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অপুর সঙ্গে এলাকারই এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কয়েক মাস আগে বিষয়টি দুই পরিবারের লোকজন জানতে পারেন। অপুর পরিবার তাঁদের সম্পর্ক মেনে নেয়। এমনকি, ছেলেকে তাঁর পছন্দের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হয়ে যায়। কিন্তু তরুণীর বাড়ির লোকজনের ওই সম্পর্কে মত ছিল না। অভিযোগ, মাস তিনেক ধরে ওই কিশোরীকে একপ্রকার ঘরবন্দি করে রাখেন বাবা-মা।
এর মধ্যে শনিবার সকালে ঘর থেকে অপুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তড়িঘড়ি তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত যুবকের বাবা জগন্নাথ মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা দু’জনের সম্পর্ক মেনে নিয়ে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে মেয়েটির বাড়িতেও গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তার পর থেকেই ছেলে মনমরা ছিল। শুক্রবার রাতে অপু খাবার খেয়ে নিজের ঘরে ঘুমোতে যায়। সকালে উঠতে দেরি হচ্ছে দেখে ওকে ডাকতে যাই। গিয়ে দেখি, সিলিং ফ্যান থেকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে। মেয়েটির পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নিলে আমাদের এই দিনটা দেখতে হতে না।’’
ময়নাতদন্তের জন্য দেহ জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। মৃতের পরিবারের অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy