এই তালিকায় প্রথমেই যাঁর নাম রয়েছে তিনি অভিনেতা অক্ষয় কুমারের প্রাক্তন প্রেমিকা শিল্পা শেট্টি। বলিউডের ‘খিলাড়ি’ টুইঙ্কল খান্নার সঙ্গে বিয়ে করার আগে চুটিয়ে প্রেম করতেন শিল্পার সঙ্গে। তাঁরা বিয়ে করবেন বলেও বলি মহলে কানাঘুষোয় শোনা যেত। কিন্তু হঠাৎই শিল্পাকে ছেড়ে টুইঙ্কলের সঙ্গে প্রেম শুরু করেন অক্ষয়। অক্ষয়-টুইঙ্কলের প্রেমের রসায়ন প্রকাশ্যে আসতেই রেগে আগুন হন শিল্পা। তিনি দাবি করেন, অক্ষয় তাঁকে ঠকিয়েছেন। জনসমক্ষেই দুষতে শুরু করেন অক্ষয়কে।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘অক্ষয় আমাকে ব্যবহার করেছে এবং অন্য এক জনকে পাওয়ার পর নিজের সুবিধামতো আমাকে জীবন থেকে বাদ দিয়েছে। আমার রাগ একমাত্র অক্ষয়ের উপরেই। আমি নিশ্চিত সে ভবিষ্যতে কর্মফল সব ফিরে পাবে। এত তাড়াতাড়ি অতীত ভুলে যাওয়া সহজ নয়। কিন্তু আমি এগিয়ে যাওয়ার শক্তি পেয়েছি। তবে আমি আর কখনও অক্ষয়ের বিপরীতে কোনও সিনেমায় কাজ করব না।’’
শিল্পা আরও জানান, ‘ধড়কন’ সিনেমায় জুটি বেঁধে অভিনয় করার সময় টুইঙ্কলের সঙ্গে অক্ষয়ের সম্পর্কের বিষয়ে জানতে পারেন তিনি। কিন্তু সিনেমার শ্যুটিং চলাকালীন টুঁ শব্দ করেননি শিল্পা। তাঁদের সম্পর্কের কারণে যাতে প্রযোজকদের হয়রানির শিকার না হতে হয় তাই শ্যুটিং শেষ হওয়া অবধি কষ্ট চেপে রাখার সিদ্ধান্ত নেন বলেও জানান শিল্পা।
তিনি বলেন, ‘‘নেস আমাকে দুনিয়া থেকে গায়েব করে দেওয়ার ভয় দেখাত। নেস নিজেকে খুব শক্তিশালী ব্যক্তি বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করতেন। আমি আমার জীবনে শান্তি চেয়েছিলাম বলে অনেক দিন মুখ বুজে সব সহ্য করেছি। খুব স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করেছি। কিন্তু মুম্বইয়ে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নেস আমাকে মারধর করার পর আমি আর চুপ থাকতে পারিনি। মৃত্যুভয় আমাকে গ্রাস করেছিল।’’
তিনি বলেন, ‘‘বিদেশে পড়াশোনা করার এবং শহরে মানুষ হওয়ার সুবাদে আমি জ্যোতিষশাস্ত্র এবং কালোজাদুতে বিশ্বাস করতাম না। আমাকে এক ভবিষ্যৎবক্তা বলেন যে এক জন পাহাড়ি মহিলা আমার উপর কালোজাদু করছে। আমি তখন শুধু একজন পাহাড়ি মহিলাকেই চিনতাম। আমার প্রেমিকা কঙ্গনা। কঙ্গনা নির্দিষ্ট পুজোর জন্য মাঝে মধ্যেই হিমাচল যেতেন। আমাকে ওই ভবিষ্যৎবক্তা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতেও বলেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy