এ ভাবেই ওঠা-নামা। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়।
এ সিঁড়িতে ধাপে ধাপে বিপদ। দিনের বেলাতেই পা ফস্কানোর আশঙ্কা। রাতে তো কথাই নেই। ডানলপ ব্রিজের গা ঘেঁষা এ সিঁড়ির রেলিং নেই। নেই আলোর ব্যবস্থাও। প্রায়ই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা।
ডানলপ বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী কৌশিক ভট্টাচার্যের অভিযোগ, ‘‘ডানলপ ব্রিজ থেকে বিটি রোডে ওঠা-নামার জন্য এই সিঁড়িটি তৈরি হয়েছিল। এমনিতেই উঁচু উঁচু ধাপ। তার উপরে ধরার কিছু নেই। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই পা মচকে যায়। প্রবীণদের খুবই অসুবিধা হয়। তবুও সিঁড়িটি সংস্কার হল না।’’
ডানলপ ব্রিজের গা ঘেঁষে সিঁড়িটি বহু দিনের পুরনো এবং সঙ্কীর্ণও। ধাপ নানা জায়গা ক্ষয়ে গিয়েছে। এমনিতেই পাশাপাশি দু’জনের ওঠা-নামা মুশকিল। রাতে কোনও আলোর ব্যবস্থা নেই। তা ছাড়া জায়গাটি নিরাপদ নয় বলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। এলাকাটি বেলঘরিয়া ও বরাহনগর থানার মাঝে পড়ে। ব্যারাকপুরের গোয়েন্দাপ্রধান সি সুধাকর অবশ্য বলেন, ‘‘ওই জায়গায় নজরদারির ব্যবস্থা হবে। তবে ব্রিজের নীচে পুলিশ থাকে।’’
ব্যারাকপুরের বাসিন্দা সাদিয়া পারভিন প্রায়ই এই সিঁড়িটি ব্যবহার করেন। প্রতি রাতে কাজ সেরে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ডানলপ ব্রিজের উপরে নামেন। তার পরে সিঁড়ি ধরে বিটি রোডে এসে অটো বা বাসে ওঠেন। সাদিয়া বলেন, ‘‘শাড়ি পরে ওই খাড়া সিঁড়ি দিয়ে উঠতে হোঁচট খেতে হয়। রাতে আলো থাকে না। মাঝেমধ্যে কিছু লোক সিঁড়ির মুখে দাঁড়িয়ে থাকে। নানা রকম কটূক্তি করে। ব্রিজের নীচে এক জন সিভিক পুলিশ থাকেন। কিন্তু তিনি বিটি রোডের যান সামলাতেই ব্যস্ত থাকেন।’’
বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দীর্ঘ দিন আলো জ্বলত না। সমস্যা কাটিয়ে বেলঘরিয়া থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত নয় কিলোমিটার রাস্তায় আলো জ্বললেও উপেক্ষিত রয়ে গিয়েছে রাস্তা লাগোয়া মাত্র কয়েকটি ধাপ। ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘‘ভোট মিটলেই সিঁড়ির সমস্যা নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy