শাসন-সংলগ্ন দেগঙ্গার এক তৃণমূল নেতাকে খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিপিএম নেতা মজিদ আলি ওরফে মজিদ মাস্টারের এলাকায় ফেরা নিয়ে ফের একপ্রস্ত হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
শনিবার রাতে দেগঙ্গার তেলিয়া গ্রামের তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির নেতা মহিফুল্লা আলি মোল্লার (৩৫) দেহ উদ্ধার হয় হাড়োয়ার খাড়ুবালা পঞ্চায়েতের একটি এলাকা থেকে। রবিবার বিকেলে নিহত নেতার বাড়িতে যান খাদ্যমন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বসিরহাটের সাংসদ ইদ্রিস আলি প্রমুখ। এই ঘটনায় সিপিএমের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, “সিপিএম নেতা গৌতম দেবের উস্কানিমূলক বক্তব্যের জন্যই সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা উৎসাহিত হয়ে তৃণমূল কর্মীদের খুন করতে আসরে নেমে পড়েছে।” এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, “মজিদ মাস্টার চাইছেন অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করতে।”
বছর পাঁচেক বাদে মজিদ আলি ওরফে মজিদ মাস্টার সামান্য সময়ের জন্য তাঁর শাসনের বাড়িতে ফিরেছিলেন। কিন্তু তাঁকে হেনস্থা করে স্থানীয় কিছু গ্রামবাসী। পুলিশকে না জানিয়ে কেন তিনি শাসনে ঢুকেছেন, সে প্রশ্ন তোলে পুলিশও। মজিদকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জামিনে ছাড়া পান ওই সিপিএম নেতা। সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌতম দেব পরে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দেন, মজিদকে তাঁরাই শাসনে ফিরতে বলেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনই মজিদ শাসনে ফিরবেন বলে কার্যত তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তিনি।
জ্যোতিপ্রিয়বাবু আগেই বলে রেখেছিলেন, মজিদ শাসনে ঢুকলে আঁশবঁটি নিয়ে প্রতিরোধের জন্য তৈরি আছেন মহিলারা। দেগঙ্গার গ্রামে গিয়ে তিনি এ দিন সিপিএম নেতৃত্বকে ফের পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন। মন্ত্রীর কথায়, “বুদ্ধ-বিমান-গৌতমকে চ্যালেঞ্জ করছি, ক্ষমতা থাকলে মজিদকে শাসনে ঢোকান। প্রয়োজনে রক্তের বিনিময়েও মজিদের শাসনে ঢোকা বন্ধ করব।” সিপিএমকে তাঁর আরও হুঁশিয়ারি, “নবান্ন অভিযান পরে হবে। আগে গৌতমবাবুরা শাসন অভিযান করে দেখান। কত ক্ষমতা দেখা যাবে।”
দেগঙ্গায় তৃণমূল নেতাকে খুনের ঘটনায় তাঁদের দলের কেউ জড়িত বলে মানতে চাননি জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা তথা সিপিএম নেতা ইমতিয়াজ হোসেন। জ্যোতিপ্রিয়বাবুর বক্তব্য নিয়ে তাঁর মম্তব্য, “এক জন সমাজবিরোধীর মুখে যে ভাষা মানায়, তা মন্ত্রীর মুখে মানায় না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy