Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Junior Doctors' Strike

৬০ ঘণ্টা পার, অচল এনআরএস, কলকাতার অন্যান্য সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা অমিল

স্বাস্থ্য পরিষেবায় সংকট চলছেই। এখনও অচলাবস্থা কাটল না কলকাতার সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজগুলিতে

বন্ধ আউটডোর পরিষেবা। অপেক্ষায় রোগীর পরিজনরা । নিজস্ব চিত্র।

বন্ধ আউটডোর পরিষেবা। অপেক্ষায় রোগীর পরিজনরা । নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৯ ১১:০৯
Share: Save:

স্বাস্থ্য পরিষেবায় সঙ্কট চলছেই। এখনও অচলাবস্থা কাটল না কলকাতার সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজগুলিতে। প্রায় ৬০ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। এখনও নিজেদের অবস্থানে অনড় এনআরএসের জুনিয়র ডাক্তাররা। এ দিনও তাঁরা অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন, এবং যথারীতি রোগী প্রত্যাখ্যানের ঘটনা ঘটছে। বন্ধ আউটডোর পরিষেবাও।

একই ছবি ধরা পড়ছে এসএসকেএম হাসপাতালেও। সেখানে আউটডোর থেকে রোগীদের টিকিট দেওয়া হলেও এখনও পর্যন্ত ডাক্তারদের দেখা নেই। আদৌ রোগীরা চিকিৎসা পাবেন কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

দুর্ভোগে পড়েছেন রোগীদের পরিবার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলতে পারছেন না আদৌ ডাক্তাররা আসবেন কি না। ফলে ক্ষোভ বাড়ছে রোগী ও তাঁর পরিজনদের মধ্যে। এ দিন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেও একই ছবি দেখা গেল। সেখানেও প্রায় কর্মবিরতি চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের। বিভিন্ন বিভাগের ডাক্তাররা যেন উধাও হয়ে গিয়েছেন। দূরদূরান্ত থেকে এসেও চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বহু রোগীর পরিবার। রোগীর পরিবারদের মধ্যে ক্ষোভ ক্রমশই বাড়ছে।

আরও পড়ুন: আটচল্লিশ ঘণ্টারও বেশি স্তব্ধ পরিষেবা, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে অনড় ডাক্তাররা

এ দিন চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় এনআরএসের সামনে এজেসি বোস রোডের উপর বসে পড়েন রোগীর আত্মীয়স্বজনরা। শুরু হয় অবরোধ। বেশ কিছুক্ষণ অবরোধের পর পুলিশি হস্তক্ষেপে তা উঠে যায়। কিন্তু পরিষেবা না মেলায় তাঁরা প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবিতে সরব হয়েছেন। একই রকম বক্তব্য এসএসকেএম-সহ কলকাতার অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজগুলিতে আসা রোগীর পরিবারেরও। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও আরজিকর মেডিক্যাল কলেজেও ছবিটা একই।

নিজেদের অবস্থানে অনড় এনআরএসের জুনিয়র ডাক্তাররা। নিজস্ব চিত্র

বুধবার রাতে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জুনিয়র এনআরএসের জুনিয়র ডাক্তারদের এই কর্মবিরতি তুলে নিতে অনুরোধ করা হয়েছিল। এমনকি, মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি তদারকি করছেন বলেও তাতে জানানো হয়। চিকিৎসকদের সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছিল এই বিবৃতিতে। কিন্তু তাতেও চিঁডে ভেজেনি। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার এবং সিনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীকে নিজে বিবৃতি দিয়ে এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা জানাতে হবে। তার পরই বিষয়টি ভেবে দেখা হবে। আন্দোলন প্রত্যাহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: চিকিৎসায় বাধা পেয়ে রণক্ষেত্র বর্ধমান মেডিক্যাল, ১৫ ঘণ্টা ‘যুদ্ধ’ চলল জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy