জিজা ঘোষ
জেলার গণ্ডি ছাড়িয়ে ‘বুথ-সহায়ক’ এ বার রাজ্যেও। আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ভোটারদের সহায়তার জন্য থাকবেন ‘বুথ-সহায়ক’। এমনই পরিকল্পনা করছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের দফতর (সিইও)।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের বুথমুখী করতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিচ্ছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে এ রাজ্যে পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করছেন সিইও দফতরের কর্তারা। এ বার লোকসভা ভোটে বুথ-সহায়ক নিয়োগের পরিকল্পনা করছেন তাঁরা। এক নির্বাচনকর্তার কথায়, ‘‘আমাদের ভাবনাচিন্তার মধ্যে আছে। বিষয়টি আমরা জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে জানাব।’’ বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য হুইলচেয়ারেরও ব্যবস্থা করতে পারে সিইও। সেই হুইলচেয়ারে বসিয়ে ওই ভোটারদের বুথে পৌঁছে দেবেন বুথ-সহায়কেরাই।
২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের বুথমুখী করার জন্য এই ধরনের বন্দোবস্ত করেছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। এ বার ওই একটি জেলার গণ্ডি ছাড়িয়ে তা রাজ্যের সব বুথে করার পরিকল্পনা করছে সিইও দফতর। বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের মধ্যে কার কী প্রয়োজন, তা যাচাই করবে সিইও-র দফতর। কিছু দিনের মধ্যেই সেই যাচাই পর্ব শুরু হতে চলেছে। অন্য কয়েকটি রাজ্যে আগে এই পদ্ধতি চালু হলেও রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এ-সব ক্ষেত্রে সতর্ক পদক্ষেপ করতে চান দফতরের কর্তারা।
সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত জিজা ঘোষকে ভোটে রাজ্যের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করার জন্য কয়েক মাস আগে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছিল সিইও-র দফতর। কয়েক দিন আগে কমিশনের কাছ থেকে সেই বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত এসেছে। একই সঙ্গে ‘ইলেকট্রোরাল লিটারেসি ক্লাব’ (ইএলসি) কেমন চলছে, কী ভাবে তা আরও উন্নত করা যায়— সে-সব দেখতে প্রতিনিধি পাঠানোর জন্য সিইও-র দফতর শীঘ্রই জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করতে চলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy