Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

‘বাসি’ ইলিশে জামাই বরণ

সমুদ্রে চলছে মাছ ধরার ব্যান পিরিয়ড। টাটকা ইলিশের জোগান নেই বাজারে। এমন সময়ই আজ, শনিবার পড়েছে জামাইষষ্ঠী। জামাইয়ের পাতে তাই এবার পড়বে হিমঘরের ইলিশ।

দিঘার বাজারে ইলিশ। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র

দিঘার বাজারে ইলিশ। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
দিঘা শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০১৯ ২৩:২৪
Share: Save:

সমুদ্রে চলছে মাছ ধরার ব্যান পিরিয়ড। টাটকা ইলিশের জোগান নেই বাজারে। এমন সময়ই আজ, শনিবার পড়েছে জামাইষষ্ঠী। জামাইয়ের পাতে তাই এবার পড়বে হিমঘরের ইলিশ।
গত দু’মাস ধরে চলছে সমুদ্রে মাছ ধরার ব্যান পিরিয়ড। তা শেষ হবে আগামী ১৪ জুন। এর ফলে দিঘা উপকূল এলাকার মৎস্যজীবীরা যেতে পারেননি সমুদ্রে। স্বাভাবিক ভাবেই বাজারে আসেনি টাটকা ইলিশও। গত বছর জামাইষষ্ঠীতে গৃহস্থের ইলিশের চাহিদা পূরণ করেছিলেন ওড়িশার মৎস্যজীবীরা। কিন্তু এ বছর ওড়িশা সরকার ব্যান পিরিয়ডে মাছ ধরার ব্যাপারে বেশ কড়া মনোভাব দেখানোয় সেখানের ইলিশেও বাড়ন্ত। তাই দিঘা ও শঙ্করপুরের কোল্ড স্টোরেজের ইলিশে সন্তুষ্ট থাকতে হবে শাশুড়ি-জামাইদের।
বুধবার থেকেই দিঘা-সহ কাঁথি মহকুমার বিভিন্ন বাজারে দেখা মিলেছে ইলিশের। হিমঘরের হওয়ায় সেগুলির ওজন কম। দামেও চড়া। দিঘার বাজারে এক কিলোগ্রাম বা তার বেশি ওজনের ইলিশের পাইকারি দর প্রায় ১,৪০০ টাকা। আর ৪০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ইলিশের দাম সাড়ে পাঁচশ থেকে ছশো টাকা। এর সঙ্গে পরিবহণ খরচ যুক্ত হয়ে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হবে বলে জানালেন দিঘার পাইকারি বিক্রেতারা।
মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, দিঘায় তিনটি, শঙ্করপুর এবং পেটুয়াঘাটে একটি করে হিমঘর রয়েছে। জামাইষষ্ঠীর জন্য সেগুলিতে ইলিশ মাছ মজুত রাখা হয়েছিল। দিঘার এক হিমঘরের মালিক আশিস জানা বলেন, “কোল্ড স্টোরেজে এক কেজি ওজনের ইলিশ কম ছিল। মূলত ৪০০-৬০০ গ্রামের ইলিশ ছিল বেশি। সেগুলিই কাঁথি মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় এবং কলকাতা, হাওড়া, হলদিয়াতে গিয়েছে।’’
‘দিঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনে’র সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেন, “জামাইষষ্ঠীর জন্য বাংলায় মায়ানমার ও বাংলাদেশ থেকেও কিছু ইলিশ এসেছে। কিন্তু তা মূলত কলকাতা ও তার আশেপাশের এলাকাতেই সীমাবদ্ধ। কাঁথি মহকুমার জন্য ভরসা সেই দিঘা, শঙ্করপুরের হিমঘর।’’
শুধু ইলিশ নয়, আনাজ এবং ফলের দামও জামাইষষ্ঠীর জন্য এক ধাক্কায় বেশ কিছুটা বেড়েছে। গত সপ্তাহেই কাঁথি এলাকায় উচ্ছে ছিল ২০ টাকা কিলোগ্রাম। শুক্রবার তা বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়। তেমনই ঢেঁড়স ১২ থেকে হয়েছে ২০ টাকা, ঝিঙে ২০ থেকে ৩০ টাকা। হিমসাগর কিলোগ্রাম প্রতি ছিল ৬০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। লিচু ৬০ টাকা কিলোগ্রাম থেকে বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা। গত সপ্তাহে কাঁথিতে মুরগির মাংসের দাম ছিল ১৮০ টাকা কিলোগ্রাম। বুধবার তা বেড়ে হয়েছে ২১০ টাকা। খাসি মাংস ৫৫০ টাকা থেকে হয়েছে ৫৭০ টাকা।
দাম যাই হোক না, জামাইকে ‘তুষ্ঠ’ করতে হাসিমুখেই চলছে কেনাকাটা।

অন্য বিষয়গুলি:

Hilsa Fish Bengali Festival Jamai Sasthi Special
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy