আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। ফাইল চিত্র।
নীলবাড়ির লড়াইয়ে আইএসএফের সঙ্গে জোট করা নিয়ে সিপিএমের অন্দরে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এরই মধ্যে সেই দলেরই প্রধান আব্বাস সিদ্দিকির ভাই নওশাদ কলম ধরলেন সিপিএমের মুখপত্রে।
সিপিএমের মুখপত্রে উত্তর সম্পাদকীয় লিখে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করেছেন ভাঙড়ের ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। জানিয়ে দিলেন, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিজেপি এবং তৃণমূল বিধায়কদের এখনও প্রতিপক্ষ হিসেবেই মনে করেন তিনি।
‘মানুষ বিধ্বস্ত, চুপ থাকব না’ শীর্ষক ওই লেখায় নওশাদের মন্তব্য, ‘২৯৩ জনের শক্তির বিরুদ্ধে বিধানসভার ভিতরে লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে।’ রাজ্য বিধানসভার সদস্য সংখ্যা ২৯৪। নীলবাড়ির লড়াইয়ে বামফ্রন্ট-কংগ্রেস-আইএসএফের জোট, সংযুক্ত মোর্চার একমাত্র প্রার্থী হিসেবে নওশাদ জয়ী হন। এ ক্ষেত্রে ‘২৯৩’ হিসেবে আইএসএফ প্রধান আব্বাসের ভাই নওশাদ শাসক তৃণমূল এবং প্রধান বিরোধী দল বিজেপি-র বিধায়কদের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন। যদিও কার্যক্ষেত্রে সেই সংখ্যাটি ২৯৩ নয়। গত বিধানসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ জেলার দু’টি কেন্দ্রে ভোট হয়নি। নবনির্বাচিত বিধায়কের ইস্তফা এবং মৃত্যুর কারণে খালি হয়েছে আরও পাঁচটি আসন।
বিধানসভা ভোটের পরে নানা ঘটনায় সংযুক্ত মোর্চার অন্দরে ফাটল প্রকাশ্যে এসেছে। ভোটের পর বিধানসভার স্পিকার নির্বাচন পর্ব প্রধান বিরোধী দল বিজেপি বয়কট করলেও নওশাদ সে সময় অধিবেশনে কক্ষে হাজির ছিলেন। এরপর শাসক শিবিরের সঙ্গে তাঁর ‘ঘনিষ্ঠতা’র জল্পনা শুরু হয়। নওশাদ নিজেও এক বার সংযুক্ত মোর্চা ছাড়ার ইঙ্গিত দেন। তাঁর দলও বাম এবং কংগ্রেসকে এড়িয়ে পৃথক ভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়েছে।
যদিও সিপিএমের মুখপত্রে নওশাদ নিজেকে সংযুক্ত মোর্চার প্রতিনিধি হিসেবেই উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি ভাঙড়ে ‘তৃণমূলের সন্ত্রাস’ নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে লিখেছেন, ভোটের সময় বিমান বসু ভাঙড়বাসীকে উন্নত মানের মাল্টি স্টোরেজের নির্মাণের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা যাতে কোনও ভাবে ব্যর্থ না হয়, বিধানসভায় সংযুক্ত মোর্চার প্রতিনিধি হিসেবে তিনি তা নিশ্চিত করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy