রিয়া ও রমার সঙ্গে সাদ্দাম।
নদীর তীরে অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধারের ঘটনার পুনর্নির্মাণ হল শনিবার।
দুর্গাচক পুলিশের তরফে এ দিন দিন দুপুর ১২টার দিকে ওই হত্যাকাণ্ডে ধৃত শেখ সাদ্দাম হোসেন-সহ চার অভিযুক্তকে নিয়ে যাওয়া হল হলদিয়ার হাজরা মোড়ের ভাড়া বাড়িতে। সাদ্দাম ওই বাড়িটি বাড়া করেছিল। রিয়া এবং রমা দে নামে নিউ ব্যারাকপুরের দুই মহিলাকে সেখানেই নিয়ে উঠত সাদ্দাম। গত ফেব্রুয়ারিতে হলদিয়ার ঝিকুরখালি এলাকায় হুগলির তীরে ওই দু’জনের অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছিল।
এ দিন পুলিশের ওই ভাড়া বাড়িতে রমা ও রিয়ার খড়ের মডেল নিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রের খবর, সাদ্দাম গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতের খাবার চাউমিনের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিল। রিয়া-রমা তা খান। ওই সময় সাদ্দামের তিন বন্ধু হাসপাতালের মাঠে মদ্যপান করছিল। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ওই তিনজন সাদ্দামের বাড়িতে ঢোকে। তারা ঘুমে আচ্ছন্ন রিয়াকে গলায় দড়ি বেঁধে শ্বাসরোধ করে মারে। পরে পাশের ঘরে থাকা রমাকেও একই পদ্ধতিতে মারে। এর পরে চার বন্ধু মিলে মা ও মেয়েকে নিয়ে ঝিকুরখালি তো চলে যায়। প্রথমে তারা ভেবেছিল কবর দিয়ে দেবে। কিন্তু মাটি শক্ত থাকায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে পেট্রোল ঢেলে দেহ পুড়িয়ে দেয়। নদীর তীর থেকে সাদ্দামেরা টাউনশিপের হলদি নদীর ধারে গিয়ে মা ও মেয়ের মোবাইল, কোদাল ইত্যাদি জিনিসপত্র ফেলে দেয়।
পুলিশের তরফে এ দিন ঘটনার পুনর্নির্মাণের বিষয়টি ভিডিয়ো করা হয়। এই ভিডিয়ো দিয়ে আদালতে অভিযোগ প্রমাণ করতে সুবিধা হবে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। অন্যদিকে, শুক্রবার হাজরা মোড়ের ভাড়া বাড়িটি থেকে আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করেন ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞরা। ওই বাড়িতে একাধিক আঙুলের ছাপ উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলির অভিযুক্তদের আঙুলের ছাপের মিলিয়ে আদালতে পেশ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy