Advertisement
E-Paper

‘অনেক প্রধানই সমন্বয় রেখে চলেননি তাঁদের পঞ্চায়েতে’

প্রধান হওয়ার পরে যে সমন্বয় রেখে চলার কথা, তা অনেক ক্ষেত্রে হয়নি। তাই দূরত্ব বেড়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাই এ বার পঞ্চায়েত ধরে পর্যালোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।

শম্পা ধাড়া। নিজস্ব চিত্র

শম্পা ধাড়া। নিজস্ব চিত্র

শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২৩ ০৭:১১
Share
Save

প্রশ্ন: গত পাঁচ বছরে জেলার সার্বিক হাল কতটা ফিরেছে?

উত্তর: সার্বিক উন্নয়নের চেষ্টা চালিয়েছি। বাড়ি বাড়ি পানীয় জল সরবরাহে আমরা তৃতীয়। স্বশক্তিকরণের জন্য কেন্দ্রের কাছে দেশের সেরা জেলা পরিষদের স্বীকৃতি পেয়েছে পূর্ব বর্ধমান। পরিচ্ছন্নতার জন্য মেমারির বিজুর-২ পঞ্চায়েত স্বীকৃতি পেয়েছে।

প্রশ্ন: নাবালিকা বিয়ে, কম বয়সে প্রসব বাড়ছে। অপুষ্ট শিশু রয়েছে জেলায়।

উত্তর: দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হয়েছে। বিশেষ সেল গঠন হয়েছে।

প্রশ্ন: জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সদস্য আধিকারিকদের সমন্বয় নেই।

উত্তর: এ সব অপপ্রচার। সমন্বয় রেখে কাজ হয় বলেই পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ অনেক কাজে এগিয়ে আছে।

প্রশ্ন: ‘কাটমানি’অভিযোগ ওঠে কেন?

উত্তর: ৯৯% ঠিক কাজ হয়েছে। দু’-একটি ঘটনা ঘটলেও, নজরে আসা মাত্র ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

প্রশ্ন: আবাস যোজনা নিয়েও তো দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

উত্তর: বারবার সত্যতা যাচাই করেছেন প্রশাসনের আধিকারিকেরা। কেন্দ্রীয় দল বারবার এসেও কোনও খুঁত পায়নি।

প্রশ্ন: ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে গিয়ে বিক্ষোভে পড়তে হয়েছে কেন?

উত্তর: মানুষের দাবি শোনার জন্যই আমরা গ্রামে, রাস্তায় ঘুরেছি। দাবি-দাওয়া শুনে নির্দিষ্ট জায়গায় রিপোর্ট হয়েছে। সেই মতো কাজও শুরু হয়েছে। মানুষের ক্ষোভ একটি জায়গাতেই, একশো দিনের কাজ করেও দু’বছর ধরে মজুরি মেলেনি। আবার নতুন কাজও নেই। এই প্রকল্পে বর্ষার আগে নর্দমা, আগাছা সাফ করা হত। তাতে জেলায় ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ কমত। সে সব কাজে ব্যাঘাত ঘটছে।

প্রশ্ন: পানীয় জল নিয়েও তো ক্ষোভ রয়েছে।

উত্তর: ২০২৪ সালের মধ্যে জেলার সব বাড়িতে জল পৌঁছনোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই কাজ চলছে। নতুন প্রকল্প তৈরি, পুরনো প্রকল্পের সংস্কার চলছে। প্রয়োজন মতো নলকূপও বসানো হচ্ছে।

প্রশ্ন: সদস্যদের গোলমালে কয়েকটি পঞ্চায়েতে কাজ ব্যাহত হয়েছে বলে অভিযোগ।

উত্তর: আসলে প্রধান হওয়ার পরে যে সমন্বয় রেখে চলার কথা, তা অনেক ক্ষেত্রে হয়নি। তাই দূরত্ব বেড়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাই এ বার পঞ্চায়েত ধরে পর্যালোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।

প্রশ্ন: পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা জেলায় ঠিকমতো খরচ হয় না কেন?

উত্তর: যে টাকা অর্থবর্ষের গোড়ায় আসার কথা, তা পেতে অনেক দেরি হচ্ছে। আবার কাজ শেষে শংসাপত্র পাওয়ার পরে টাকা ছাড়তে গিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই কিছুটাদেরি হচ্ছে। রিপোর্টে যা দেখা যায়, বাস্তবে কিন্তু তার চেয়ে অনেক বেশি কাজ হয়।

প্রশ্ন: গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলে ফের নিরঙ্কুশ ভাবে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত গঠন করতে পারবেন?

উত্তর: মানুষ উন্নয়ন দেখে ভোট দেবেন। আমরা ভাল ফল করবই।

সাক্ষাৎকার: সৌমেন দত্ত

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

WB Panchayat Election 2023 West Bengal

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}