প্রতীকী ছবি।
বিদায় বোতল। স্বাগত গ্লাস।
সামনে একটা মিনারেল ওয়াটারের প্লাস্টিক বোতল রয়েছে। সেই বোতলের সিল নিজের হাতে ভেঙে এক চুমুক গলায় ঢেলে আবার যথাস্থানে রেখে দেন অনেকেই।
এমন ছবি দেখা যায় সরকারি বা বেসরকারি সভায়, প্রশিক্ষণে, কর্মশালায়। প্লাস্টিক বোচলের দাপটে ওই সব ক্ষেত্রে গ্লাসে জলপানের পাট প্রায় উঠে যেতে বসেছে। প্লাস্টিক বোতলের সেই অভ্যাসে ইতি টেনে গ্লাসে ফিরতে চায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। বুধবার সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
দক্ষিণ দিনাজপুরের যাবতীয় সভা, প্রশিক্ষণ, কর্মশালায় মিনারেল ওয়াটারের বোতল ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে জেলা প্রশাসন। তার পরিবর্তে ওই সব ক্ষেত্রে ভঙ্গুর নয়, এমন জার এবং গ্লাস ব্যবহার করা হবে। ব্যবহার করা হবে পরিস্রুত পানীয় জলের মেশিন। তার থেকে কাচ, মাটি বা পেপার গ্লাসে নেওয়া জলে গলা ভেজাবেন জেলা প্রশাসনের সভা, প্রশিক্ষণ, কর্মশালার অতিথি থেকে সরকারি কর্মী ও অফিসারেরা।
প্লাস্টিক জলের বোতল ব্যবহার নিষিদ্ধ করে গত শুক্রবার দক্ষিণ দিনাজপুরে একটি নির্দেশ জারি করেছেন জেলাশাসক নিখিল নির্মল। বুধবার সেই নির্দেশ বলবৎ হয়েছে জেলাশাসক, জেলা পরিষদ, জেলা গ্রামোন্নয়ন সেল এবং বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর মহকুমাশাসকের অফিসে। ওই নির্দেশ পালন করতে বলা হয়েছে জেলা, মহকুমা প্রশাসন-সহ বিভিন্ন স্তরের কর্তাদের।
পরিবেশ রক্ষায় রাজ্য সরকারের তরফে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে পথে নেমে আমজনতাকে পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে সচেতন করেছেন। এর মধ্যে একটি জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রশাসনিক মহলের অনেকেই। তাঁদের মতে, জেলা প্রশাসনে এই ধরনের উদ্যোগ সম্ভবত এই প্রথম।
সরকারি কাজে প্লাস্টিক বোতলের পরিবর্তে কাচ বা পেপার গ্লাস ব্যবহারের সূচনা জেলাশাসক নিখিলের মস্তিষ্কপ্রসূত। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের তরফে পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এটা একটা ছোট্ট পদক্ষেপ।’’
প্লাস্টিক বোতলের পুনর্ব্যবহার হয় না। সেই জন্যই সরকারি কাজে তা নিষিদ্ধ করার কথা ভাবা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসনের কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy