প্রতীকী ছবি।
দলের জাতীয় কর্মসমিতিতে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিত্ব দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়ে দিল বিজেপি। দলের বিদায়ী জাতীয় কর্মসমিতিতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ছিলেন ন’জন। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডা বৃহস্পতিবার যে জাতীয় কর্মসমিতি ঘোষণা করেছেন, সেখানে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ২১ জনকে রাখা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ন’জন রয়েছেন পদাধিকার বলে। বাকি ১২ জনের মধ্যে ছ’জনকে জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য করা হয়েছে। অন্য ছ’জনকে সেখানে রাখা হয়েছে বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য হিসাবে।
বিজেপির এ দিন ঘোষিত জাতীয় কর্মসমিতিতে মিঠুন চক্রবর্তী, দীনেশ ত্রিবেদী, স্বপন দাশগুপ্ত, অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়, ভারতী ঘোষ এবং মুকুটমণি অধিকারীকে সদস্য করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মিঠুন একদা রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ ছিলেন। দীনেশ রাজ্যসভার সাংসদ পদ এবং তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বিধানসভা ভোটের আগে। ভারতী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন লোকসভা ভোটের আগে। স্বপন, অনির্বাণ এবং মুকুটমণি সাবেক বিজেপি। এ ছাড়া, তিন সাংসদ জয়ন্ত রায়, দেবশ্রী চৌধুরী, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, বিধায়ক অশোক লাহিড়ী, দলের রাজ্য সহ সভানেত্রী মাফুজা খাতুন এবং নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে জাতীয় কর্মসমিতিতে বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য করা হয়েছে।
পর্যবেক্ষকদের মতে, বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে রাজ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে চলে যাওয়ার যে বিপরীত স্রোত দেখা যাচ্ছে, তা আটকানোর একটা চেষ্টা দলের নতুন জাতীয় কর্মসমিতির মধ্যে মিশে রয়েছে। যে সব নেতা-নেত্রী তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন বলে রাজনৈতিক মহলে চর্চা জোরদার, তাঁদের দু’জনকে এই তালিকায় রাখা হয়েছে। এক জন রাজীব, যিনি সাম্প্রতিক কালে বেশ কয়েক বার সামাজিক মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন, বিজেপির নানা পদক্ষেপের বিরোধিতাও করেছেন। অন্য জন ভারতী। তিনিও তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে রাজনৈতিক সূত্রের দাবি। তাৎপর্যপূর্ণ হল, বিজেপি গত সোমবার সব্যসাচী দত্তকে খড়দহ বিধানসভার আসন্ন উপনির্বাচনের অন্যতম ‘ইন চার্জ’ ঘোষণা করেছিল। এ দিন সব্যসাচী তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy