রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় , মিঠুন চক্রবর্তী এবং দীনেশ ত্রিবেদী। —ফাইল চিত্র।
বিজেপি-র জাতীয় কর্মসমিতি বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। আর সেই কমিটিতে জায়গা পেলেন তৃণমূল থেকে আসা তিন নেতা। প্রাক্তন সাংসদ তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর পাশাপাশি বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী জায়গা পেয়েছেন ওই কমিটিতে। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কর্মসমিতিতে রাখা হয়েছে আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে। বিজেপি-র সংবিধান অনুযায়ী এটি দলের অন্যতম প্রধান কমিটি। এর উপরে রয়েছে শুধু ১২ সদস্যের সংসদীয় বোর্ড। দলের যাবতীয় নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় সেই বোর্ড।
রাজনৈতিক মহলেরএকটা অংশের ধারণা ছিল, বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র টিকিটে বিধাননগর আসনে লড়া সব্যাসাচী এবং ডোমজুড়ের প্রার্থী রাজীব একই সঙ্গে তৃণমূলে ফেরার সুযোগ পাবেন। বিধানসভা ভোটে পরাজয়ের পরে দু’জনেই পুরনো দলে ফেরার চেষ্টা করছিলেন বলে জল্পনা ছিল। ঘটনাচক্রে যে দিন সব্যসাচী তাঁর পুরনো দলে ফিরলেন সে দিনই রাজীবকে নতুন দায়িত্ব দিল বিজেপি। অনেক মনে করছেন রাজীবকে ধরে রাখতেই এই গুরুত্ব দেওয়া হল।
বিজেপি-র জাতীয় কার্যসমিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলীমনোহর জোশী, বিজেপি-র প্রাক্তন সভাপতি রাজনাথ সিংহ, অমিত শাহ, নিতিন গডকড়ী, প্রাক্তন রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল রয়েছেন। সেই সঙ্গেই রয়েছেন মিঠুন। জায়গা পেয়েছেন অভিনেত্রী-সাংসদ হেমা মালিনীও। তবে বাদ গিয়েছেন গাঁধী পরিবারের দুই সদস্য মেনকা ও বরুণ। বাংলা থেকে ওই কমিটিতে রয়েছেন দিলীপ ঘোষ, স্বপন দাশগুপ্ত, মুকুটমণি অধিকারী, ভারতী ঘোষ ও অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়।
জাতীয় কর্মসমিতিতে আমন্ত্রিতদের মধ্যে রাজীব ছাড়াও বাংলা থেকে রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী, জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়, রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় এবং রাজ্য বিজেপি-র মুসলিম মুখ মাফুজা খাতুন।
তবে রাজ্য বিজেপি-র অন্দরে রাজীবের অন্তর্ভূক্তি নিয়েপ্রশ্ন উঠছে। কারণ, বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র ভরাডুবির পর থেকে রাজীব দলের কোনও বৈঠক, কর্মসূচিতে অংশ নেননি। বরং, বিভিন্ন সময়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি-কে আক্রমণ করে তৃণমূলের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন। সম্প্রতি ভবানীপুরের উপনির্বাচনের সময়েও তাঁকে তৃণমূলের পক্ষ নিতে দেখা গিয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy