ইমামদের প্রচারিত সেই লিফলেট
অসমের পরেই কি বাংলা!
পড়শি রাজ্য অসমের মতো এ রাজ্যেও যে নাগরিক পঞ্জির ছায়া পড়তে চলেছে, দিন কয়েক আগেই তার আভাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দেশের আনাচ কানাচে তা নিয়ে ভয়-ভীতির সঙ্গেই প্রশ্ন উঠেছে দেশের নাগরিক হিসেবে নিজের পরিচয়টুকু জড়িয়ে রাখতে নথিপত্রের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে।Murshidabad
সংখ্যালঘু প্রধান মুর্শিদাবাদ জেলায় তাই সে ব্যাপারে সচেতন করা শুরু করল ‘অল ইন্ডিয়া ইমাম-মুয়াজ্জিন অ্যান্ড সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন’।
ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা ওই জেলার ইমামেরা বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট বিলি করা শুরু করেছেন। শুরু হয়েছে রিকশা কিংবা অটো চড়ে প্রচার। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে মসজিদের মাইকে কান পাতলেও কানে আসছে নাগরিক পঞ্জি নিয়ে সতর্কবার্তা। এনআরসি বা নাগরিক পঞ্জির জন্য কী ধরনের তথ্য প্রমাণ লাগবে, দেশের নাগরিক হিসেবে নিজেরে প্রমাণ করতে সঙ্গে থাকা চাই কি কাগজ— তার তালিকা তৈরি করে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে লিফলেট।
জেলা ইমাম নিজামুদ্দিন বিশ্বাস বলেন, ‘‘নাগরিকপঞ্জি যে সারা দেশ জুড়েই অবশ্যম্ভাবী তার আঁচ পেয়েছি আমরা। তাই সাধারন মানুষকে আগাম সতর্ক করা হচ্ছে।’’
নাগরিক পঞ্জির গেরোয় পড়ে অসমের বহু বাসিন্দার ভারতীয়ত্ব এখন প্রশ্ন চিহ্নের সামনে ঝুলছে। প্রয়োজনীয় নথি বা কাগজপত্র না থাকায় সেখানে যে কয়েক লক্ষ মানুষের নাম নাগরিক-তালিকা থেকে বাদ পড়তে চলেছে তা নিয়েই কপালে ভাঁজ পড়েছে বলে ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। তাই নাগরিকপঞ্জির নির্দেশ মেনে প্রয়োজনীয় সব নথিই নিজের কাছে রাখার আবেদন করেছে ইমাম-মোয়াজ্জিনদের ওই সংগঠন।
ইমাম মুয়াজ্জিনদের মুর্শিদাবাদ জেলা সংগঠনের সম্পাদক আব্দুর রজ্জাক বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার এ রাজ্যে এনআরসি লাগু করতে এখনই কোনও নির্দেশ দেয়নি ঠিকই তবে তা যে চালু হবে সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিৎ। আর সে জন্যই মানুষকে আতঙ্কিত না করে বরং আগাম সতর্ক করাই আমাদের লক্ষ্য। সে কারনেই জেলা জুড়ে প্রচার চালানো হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy