শহরে চলছে বেআইনি অস্ত্র তৈরি-সহ জাল নোট ছাপার কারবার। —নিজস্ব চিত্র।
খাস কলকাতায় রমরমিয়ে চলছে বেআইনি অস্ত্র কারবার। সেই সঙ্গে চলছিল জাল নোট ছাপানোও। শহরের প্রায় কেন্দ্রস্থলে এমন এক কারখানার হদিশ পেল কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। মুঙ্গের থেকে লোকজন এনে মধ্য কলকাতার স্ট্র্যান্ড রোডে শুল্ক দফতরের কাছেই চলছিল এই কারবার। এই ঘটনায় তিন জন যুবককে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে গ্রেফতার করে এসটিএফ। ধৃতদের জেরা করে হাওড়াতে আরও একটি এ ধরনের কারখানার হদিশ মিলেছে। দুই কারখানা থেকে দেশি অস্ত্র, জাল নোট-সহ প্রচুর কাঁচামাল-যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম মহম্মদ চাঁদ ওরফে সোনু, মহম্মদ সুলতান ও মহম্মদ শিল্টু। এরা প্রত্যেকেই বিহারের মুঙ্গেরের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ হেয়ার স্ট্রিট থানা এলাকায় শুল্ক দফতরের কাছে ওই অস্ত্র তৈরির কারখানায় হানা দেয় এসটিএফ। সেখানেই চলছিল অস্ত্র তৈরির কারবার। সেই সঙ্গে ছিল জাল নোট ছাপার ব্যবস্থাও। ওই কারখানা থেকে ২২টি দেশি সেমি ফিনিশড অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেন এসটিএফ দলের আধিকারিকেরা। এ ছাড়াও সেখান থেকে ২০০০ টাকার ৫০টি ভারতীয় জাল নোট উদ্ধার করেছেন তাঁরা।
এসটিএফ জানিয়েছে, সব মিলিয়ে ১ লাখ ভারতীয় টাকার ভুয়ো নোট মিলেছে। ওই অস্ত্র-সহ জাল নোট উদ্ধারের পর গত কাল রাতেই সোনু, সুলতান ও শিল্টুকে গ্রেফতার করা হয়। অস্ত্র আইনের ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর সামনে জয় শ্রীরাম বলায় গ্রেফতার ১০, কাল থানা ঘেরাও বিজেপির
আরও পড়ুন: সামনে আয় দেখি, কত বড় বিজেপির বাচ্চা: মমতা
অস্ত্র তৈরির কাজে ব্যবহার করা হত এই লেদ মেশিনটি। —নিজস্ব চিত্র।
তবে এখানেই শেষ নয়। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের পর হাওড়াতেও একটি অস্ত্র কারখানার হদিশ মিলেছে। ধৃতদের থেকে পাওয়া সূত্র ধরে হাওড়ার জি টি রোডের কাছে পিলখানা বাজার এলাকায় হানা দেয় এসটিএফ। সেখান থেকে ২৬টি সেমিফিনিশড দেশি অস্ত্র-সহ ২টি মিলিং মেশিন, একটি করে লেদ মেশিন, ড্রিলিং-গ্রাইন্ডিং মেশিন, অস্ত্র পালিশ করার মেশিন উদ্ধার করেছে। এ ছাড়াও প্রচুর পরিমাণ কাঁচামাল-যন্ত্রপাতি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
(পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেবাংলায় খবরজানতে পড়ুন আমাদেররাজ্যবিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy