Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

পুলিশের উপরে আস্থা হারাচ্ছে নিহতের পরিবার

ঘটনার পরে কেটে গিয়েছে তিন-তিনটে দিন। অথচ চুঁচুড়া স্টেশনের অদূরে আম ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুনে জড়িত দুষ্কৃতীদের নাগাল এখনও পেল না পুলিশ। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের উপরে ক্রমশ আস্থা হারাচ্ছেন নিহতের পরিবারের লোকজন। শহর জুড়ে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব বন্ধ করতে পুলিশি তৎপরতা বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন শাসক দলের স্থানীয় বিধায়ক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৫ ০১:৪৪
Share: Save:

ঘটনার পরে কেটে গিয়েছে তিন-তিনটে দিন। অথচ চুঁচুড়া স্টেশনের অদূরে আম ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুনে জড়িত দুষ্কৃতীদের নাগাল এখনও পেল না পুলিশ। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের উপরে ক্রমশ আস্থা হারাচ্ছেন নিহতের পরিবারের লোকজন। শহর জুড়ে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব বন্ধ করতে পুলিশি তৎপরতা বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন শাসক দলের স্থানীয় বিধায়ক।

রবিবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ পড়শির বাড়িতে বসে চা খাওয়ার সময় জনা সাতেক দুষ্কৃতী তপন দে নামে ওই ব্যবসায়ীকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয়। তার পরে পায়ে হেঁটে গা-ঢাকা দেয় দুষ্কৃতীরা। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই খবর পৌছয় চুঁচুড়া থানায়। পুলিশ তদন্তে আসে। কিন্তু দুষ্কৃতীরা ধরা পড়েনি। নিহতের দিদি মায়া হাজরা বলেন, ‘‘ভাইকে তো আর ফিরে পাব না! প্রশাসন কি করছে, এখন সেই দিকেই তাকিয়ে বসে রয়েছি। এখনও তো সদর্থক কিছু দেখলাম না।’’ তাঁদের এক আত্মীয়ের ক্ষোভ, “জেলা সদরে এই ভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে এক জন ব্যবসায়ীকে খুন করে বুক ফুলিয়ে দুষ্কৃতীরা চলে গেল। পুলিশ-প্রশাসন যদি তাদের ধরতে না পারে, তা হলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়!”

স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই জানিয়েছেন, দুষ্কতীদের পাল্টা হানার ভয়ে তাঁরা প্রতিবাদের সাহস পাচ্ছেন না। ফলে প্রথম থেকে পুলিশের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন তাঁরা। কিন্তু পুলিশের ভূমিকায় তাঁরা হতাশ। গত কয়েক মাসে চুঁচুড়া, হুগলি এবং ব্যান্ডেল জুড়ে বেশ কয়েকটি দুষ্কৃতীমূলক ঘটনা ঘটেছে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, বহিরাগত সমাজবিরোধীদেরও এই শহর অবাধ বিচরণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। নিহতের পরিবারের লোকজনের অনুমান, বহিরাগত দুষ্কৃতীরা ওই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, “দুর্ভাগ্যজনক ভাবে একের পর এক ঘটনা ঘটছে। দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম বন্ধ করতে পুলিশকে আরও তৎপর হতে হবে।”

নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ পুলিশ মানেনি। জেলা পুলিশের এক শীর্ষকর্তা বলেন, “দুষ্কৃতীদের ধরতে সবরকম ভাবে চেষ্টা চলছে। আশা করছি, শীঘ্রই গ্রেফতার করা যাবে।” ওই পুলিশ অফিসারের সংযোজন, “প্রায় সব ঘটনাতেই অভিযুক্ত দুষ্কৃতীরা ধরা পড়েছে। এ ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হবে না।”

লগ্নি সংস্থার কর্তা ধৃত

প্রতারণার অভিযোগে এক অর্থলগ্নি সংস্থার দুই কর্তাকে গ্রেফতার করল ক্যানিং থানার পুলিশ। সোমবার রাতে তাদের ক্যানিং বাসস্ট্যান্ড চত্বর এবং সাতমুখো বাজার এলাকা থেকে ধরা হয়। ওই অর্থলগ্নি সংস্থার এজেন্ট হারান পৈলানের অভিযোগের ভিত্তিতে গোপাল নায়েক ও আবুছিদ্দিক মোল্লা ধরা পড়ে।

অন্য বিষয়গুলি:

businessman murder case chunchura
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE