প্রতীকী ছবি
ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম হলেন এক তরুণী। বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনাটি ঘটেছে রামরাজাতলা ও সাঁতরাগাছি স্টেশনের মাঝে। পুলিশ জানায়, স্থানীয় এক যুবক ওই তরুণীকে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাওড়া জেলা হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই তরুণীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। পুলিশের অনুমান, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে ব্যক্তিগত টানাপড়েনের কারণে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে
আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন ওই তরুণী। যদিও তাঁর স্বামী এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ছয়েক আগে হাওড়ার আন্দুলের বাসিন্দা বছর পঁচিশের ওই তরুণীর বিয়ে হয় এলাকারই এক যুবকের সঙ্গে। তাঁদের তিন বছরের এক
কন্যাসন্তানও রয়েছে। পুলিশ জেনেছে, বছর দেড়েক আগে স্বামীর সঙ্গে দিঘায় বেড়াতে গিয়ে এক যুবকের সঙ্গে আলাপ হয় ওই তরুণীর। তিনি নিজের ঠিকানা ও ফোন নম্বর ওই যুবককে দেন। ওই যুবকের ফোন নম্বরও নিয়ে নেন।
পুলিশ জানায়, ফেরার পর থেকে নিয়মিত ফোনে ওই যুবকের সঙ্গে কথা বলতেন তরুণী। ঘনিষ্ঠতা বাড়ায় কয়েক বার ওই যুবক তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আন্দুলের বাড়িতেও এসেছিলেন বলে পরিবার সূত্রে খবর। পুলিশ জেনেছে, এর পরে বেশ কয়েক বার তরুণী বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। কিন্তু দিন কয়েক পরে ফিরেও আসতেন তিনি।
পুলিশ জানায়, দিন সাতেক আগে ফের শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান তরুণী। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতার একটি হোটেল থেকে ওই যুবক ও তরুণীকে একসঙ্গে ধরে ফেলেন তাঁর স্বামী ও
পরিবারের লোকজন। এর পরে তাঁরা সকলে মিলে যখন হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেনে বাড়ি ফিরছিলেন, তখন স্বামীর সঙ্গে কথা কাটাকাটির মাঝেই ঘটে দুর্ঘটনা। পরিবার সূত্রের দাবি, ট্রেনটি রামরাজাতলা স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার পরেই মেয়েকে নিজের মায়ের হাতে দিয়ে হঠাৎই চলন্ত ট্রেন থেকে ‘ঝাঁপ’ দেন ওই তরুণী। পুলিশ জানায়, বেশ কিছু ক্ষণ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকার পরে স্থানীয় এক ব্যক্তি তাঁকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করেন। সাঁতরাগাছি স্টেশনে নেমে তাঁর পরিবারের লোকজনও ফিরে যান ঘটনাস্থলে।
ওই তরুণীর স্বামী অবশ্য স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘এ সব অভিযোগ ঠিক নয়। ও মাথা ঘুরে ট্রেন থেকে পড়ে গিয়েছে।’’ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy