প্রতীকী ছবি।
এলাকার লোকজনকে কাজে নেওয়ার দাবিতে সিঙ্গুরের ট্রমা কেয়ার সেন্টারের গেটের সামনে শনিবার প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীদের একাংশ। এর জেরে ওই কেন্দ্রের অস্থায়ী কর্মীরা কাজে যোগ দিতে পারেননি। শেষমেশ পুলিশ এবং বিএমওএইচ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। তবে, গোটা ঘটনাটিকে ফের সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য এবং হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্নার আকচাআকচি হিসেবেই দেখছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ। তাঁদের দাবি, বিক্ষোভকারীরা বেচারামবাবুরই অনুগামী।
বিএমওএইচ রজতকুমার পাল বলেন, ‘‘ওই কেন্দ্রে লোক নিয়োগ নিয়ে একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় লোকজন তাঁদের কাজে নেওয়ার দাবি তুলেছেন। বিধায়ক এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’’ সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে, তাঁর অনুগামী হিসেবে পরিচিত সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি প্রতিমা দাস বলেন, ‘‘ট্রমা কেয়ার সেন্টার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প। এলাকার মানুষ আধুনিক চিকিৎসার সুবিধা পাবেন। নিয়ম মেনেই কর্মী নিয়োগ হয়েছে। কারা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন জানি না।’’ এ নিয়ে বেচারামবাবুও কোনও কথা বলতে চাননি। তাঁর অনুগামী হিসেবে পরিচিত তৃণমূল নেতা দুখিরাম দাস এ দিন বিক্ষোভে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘সিঙ্গুর-১ এবং বারুইপাড়া-পলতাগড় পঞ্চায়েত এলাকা ছাড়া অন্য কোনও এলাকার লোক নিয়োগ করা যাবে না। কারণ, এই দুই পঞ্চায়েতের মানুষই কেন্দ্রটি গড়তে সব রকম সাহায্য করেছেন।’’ চুপি চুপি লোক নিয়োগ হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন দুখিরামবাবু।
দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় আহতদের যাতে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়, সে জন্য ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিঙ্গুরে ওই ‘ট্রমা কেয়ার সেন্টার’ তৈরির কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয় লাগোয়া ঘনশ্যামপুর এলাকায় ওই কেন্দ্রটি তৈরির কাজ এখন শেষ পর্ষায়ে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি ওই কেন্দ্রের জন্য ৩০ জন অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা হয়। তার পরেই এ দিনের বিক্ষোভ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy