পার: ভেসেলে চলছে গাড়ি পারাপার চলছে। ছবি: প্রকাশ পাল
মাঝে ছ’মাস বন্ধ ছিল। প্রশাসনিক মধ্যস্থতায় ফের গুপ্তিপাড়া-শান্তিপুরে গঙ্গায় ভেসেলে গাড়ি পারাপার শুরু হয়েছে।
সেই সঙ্গে গুপ্তিপাড়া ফেরিঘাট সংস্কারে রাজ্য পরিবহণ দফতর ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছে। বলাগড় ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই টাকায় পর্যাপ্ত আলো, সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। বিশ্রামাগার, শৌচাগার, জলের ব্যবস্থা করা হবে। মাঝিদের নিরাপত্তার জন্য লাইফ জ্যাকেট এবং অন্য সরঞ্জামও দেওয়া হবে।
বিডিও মোদাশ্বর মোল্লা বলেন, ‘‘টেন্ডার ও ওয়ার্ক অর্ডার হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।’’ তিনি জানান, ওই কাজের পাশাপাশি স্থানীয় বিধায়ক অসীম মাঝির এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকায় ঘাট সংলগ্ন রাস্তা কংক্রিটের করা হবে।
দীর্ঘদিন ধরেই এখানে ভেসেলে করেই গাড়ি পারাপার করা হতো। গত ৬ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে পারাপারের সময় গঙ্গায় গাড়ি পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হন শান্তিপুরের এক শাড়ি ব্যবসায়ী। শান্তিপুরের ঘাটে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। এর পরেই ওই ঘাটের নানা অনিয়ম সামনে আসে। দেখা যায়, বিনা অনুমতিতেই গাড়ি পারাপার চলছিল। প্রশাসনের তরফে গাড়ি পারাপার বন্ধ করে দেওয়া হয়।
গ্রামবাসীরা জানান, গাড়ি পারাপার বন্ধ থাকায় দু’পারের বহু ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন। অনেকটা ঘুরপথে তাঁদের যাতায়াত করতে হচ্ছিল। গত পাঁচ-ছ’দিন ধরে ফের ভেসেলে গাড়ি পারাপার চালু হয়েছে। ঘটনাচক্রে যাঁরা আগে চালাতেন, তাঁরাই ওই দায়িত্ব পেয়েছেন। প্রশাসন সূত্রের খবর, ছ’মাস আগেই পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসনের তরফে সংশ্লিষ্ট দফতরে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল। পরে পরিবহণ দফতরের লোকেরা এসে পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন। ঘাট কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁদের পরিবহণ দফতরে রেজিস্ট্রেশন করাতে হয়েছে। এ জন্য সরকারকে নির্দিষ্ট জমা দিতে হয়েছে। এর পরে নদিয়ার আরটিও-র চিঠির প্রেক্ষিতে শান্তিপুর পুরসভা ভেসেলে গাড়ি পারাপারের অনুমতি দেয়।
গাড়ি পারাপার ফের চালু হওয়ায় খুশি গ্রামবাসীরা। কিন্তু তাঁরা চেয়েছিলেন, পরিবহণ দফতর সরাসরি ওই ঘাটের দায়িত্ব নিক। তাঁদের বক্তব্য, এর আগে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে রাতবিরেতে পারাপার চলত। কোনও নিয়ম মানা হতো না। প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা আয় হলেও তা যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে কাজে লাগানো হয়নি। সরকারি ভাঁড়ারেও জমা পড়েনি।
ঘাট কর্তৃপক্ষের তরফে শ্যাম সাহা বলেন, ‘‘এখন নিয়ম মেনেই ভেসেল চালানো হচ্ছে।’’ তাঁর দাবি, ইতিমধ্যেই পরিবহণ দফতরের নির্দেশমতো ভেসেল মেরামত করা হয়েছে। আলো ও সিসি ক্যামেরায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। আপৎকালীন অবস্থার জন্য মাঝিদের লাইফ জ্যাকেট ও লাইফ বোট কেনা হয়েছে। আর এক ঘাটকর্তা বংশী চৌধুরী জানান, আগামী ৬ মাস তাঁদের ইজারা রয়েছে। নির্দিষ্ট সময় ছাড়া যাত্রী বা গাড়ি পারাপার করা হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy