প্রতীকী ছবি।
নানা দাবিতে পুজোর মুখে রাজ্য জুড়ে তিন দিনের (১২-১৪ অক্টোবর) ট্রাক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ট্রাক-মালিকদের সংগঠন। এমনিতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ জেরবার। ওই ধর্মঘট হলে খাদ্যদ্রব্য-সহ নানা জিনিসের দাম আরও বাড়বে বলে ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা। তাঁদের বক্তব্য, ট্রাক ধর্মঘটে জিনিসপত্রের জোগানে টান পড়বে। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী পরিস্থিতি আরও ঘোরালো করে তুলতে পারেন।
শনিবার বিকেলে ট্রাক-মালিক সংগঠনের তরফে শ্রীরামপুরে ধর্মঘট নিয়ে প্রস্তুতি-বৈঠক করা হয়। সংগঠনের সদস্যেরা জানান, হুগলিতে ৮ হাজারের বেশি ট্রাক চলে। রাজ্যে এই সংখ্যা কয়েক লক্ষ। তাঁদের অভিযোগ, ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকার গাড়িতে পণ্য পরিবহণের পরিমাণ ২৫% বাড়িয়েছে। অনেক রাজ্যেই তা কার্যকর হলেও এ রাজ্যে হয়নি। অথচ, ইচ্ছেমতো ‘ওভারলোডিং’ চলছে। নজরদারির দাবি তুলেছেন ট্রাক-মালিকেরা। তাঁদের আও অভিযোগ, ট্রাক নিয়ে বেরোলে পুলিশকে ‘মাসোহারা’ দিতে হয়। মোটরযান, ভূমি দফতরের আধিকারিকদেরও ‘খুশি’ করতে হয়। বালি-পাথর মাফিয়াদের চাহিদাও পূরণ করতে হয়। এ সবের পাশাপাশি মোটরযান দফতরে হয়রানি বন্ধের দাবিও জানানো হয়।
সংগঠনের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘‘বাইরের রাজ্যের কোনও ট্রাক যে পরিমাণ পণ্য নিয়ে এ রাজ্যে ঢুকতে পারে, আমরা তা পারি না। আমাদের প্রচুর লোকসান হচ্ছে। কেন্দ্রের আনা নিয়ম কার্যকর করলেই এই লোকসান থেকে মুক্তি পেতে পারি। কিন্তু রাজ্য সরকারকে বারবার বলা সত্বেও তা করা হচ্ছে না।’’
হুগলি ইউনাইটেড ট্রাক ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন-এর সাধারণ সম্পাদক প্রবীর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুজোর কথা ভেবেই মাত্র তিন দিন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। এর পরেও সমস্যা না মিটলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট করা ছাড়া উপায় থাকবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy