পাহাড়প্রমাণ: বেলগাছিয়া ভাগাড় থেকে ছড়ানো দূষণ কমাতে উদ্যোগী হয়েছে পুরসভা। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
হাওড়ার বেলগাছিয়া ভাগাড়ের অবস্থা এখন ভয়াবহ! বছরের পর বছর সেখানে আবর্জনা জমতে জমতে পাহাড় হয়ে গিয়েছে। আর সেই পাহাড় থেকে মাঝে মাঝেই নামছে ধস। জঞ্জালের ভিতরে জমে থাকা মিথেন গ্যাস থেকে আগুন জ্বলে উঠছে অহরহ। সেই বিকট গন্ধের ধোঁয়ায় দূষিত হয়ে উঠছে এলাকার বাতাস। এই দূষণ কমাতে এবং শহরের রাস্তা থেকে ভ্যাট তুলে দিতে নতুন পদক্ষেপ করছে হাওড়া পুরসভা।
ঠিক হয়েছে, এখন থেকে আর পাড়ার খোলা বা ঢাকা ভ্যাটে জঞ্জাল ফেলা যাবে না। বাড়ি থেকেই আবর্জনা সংগ্রহ করবেন পুর কর্মীরা। সেই আবর্জনা বাসিন্দাদেরই দু’ভাগে ভাগ করে রাখতে হবে। একটিতে থাকবে পচনশীল বর্জ্য (যেমন আনাজের খোসা, খাবারের উচ্ছিষ্ট) ও অন্যটিতে থাকবে অপচনশীল বর্জ্য (যেমন প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ, কাচের বোতল)। কী ভাবে আবর্জনা রাখতে হবে, তা এ বার বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের হাতেকলমে দেখিয়ে দেবেন পুর কর্মীরা।
ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছে হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলী। আগামী দিনে পুরসভার সব ক’টি ওয়ার্ডেই চালু হবে এই ব্যবস্থা। পাইলট প্রকল্প হিসেবে প্রথমে একটি ওয়ার্ডে শুরু করা হবে। এর পরে ধীরে ধীরে পুরসভার ৬৬টি ওয়ার্ডেই তা চালু হবে। এই কাজের জন্য কেনা হবে বিশেষ হাতে টানা গাড়ি। যে গাড়ি হাওড়া শহরের অলিগলিতে ঢুকে বাড়ি বাড়ি থেকে সংগ্রহ করতে পারবে আবর্জনা।
হাওড়ার পুর কমিশনার তথা পুরসভার প্রশাসক বিজিন কৃষ্ণের বক্তব্য, রাস্তার ধারে থাকা ভ্যাট থেকে এলাকায় দূষণ ছড়ায়। তাই আগামী দিনে হাওড়া শহরের সমস্ত রাস্তা থেকে তুলে দেওয়া হবে ভ্যাট। তাতে রাস্তা কিছুটা চওড়াও হবে। অফিস বা স্কুলের সময়ে রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে আবর্জনা পরিষ্কারের কাজও বন্ধ হবে।
পুর কমিশনার বলেন, “পচনশীল বর্জ্য থেকে তৈরি করা হবে জৈব সার। আর অপচনশীল বর্জ্য দিয়ে দেওয়া হবে ভাঙা জিনিসপত্র যাঁরা কেনেন, তাঁদের।’’ তিনি জানান, পচনশীল বর্জ্য থেকে তৈরি জৈব সার বাজারে বিক্রি করা হবে। সেই টাকাতেই এই প্রকল্পের খরচের অনেকটা উঠে আসবে বলে অনুমান পুর কর্তৃপক্ষের।
হাওড়া শহরে রয়েছে অনেকগুলি বড় মাপের আবাসন। সেগুলিকে ইতিমধ্যেই আবর্জনা উৎপাদনে ‘বাল্ক জেনারেটর’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুরসভা। ওই সমস্ত আবাসন থেকে আবর্জনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ। প্রশাসকমণ্ডলীর আগামী সভায় বিষয়টি চূড়ান্ত রূপ নেবে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy