প্রতীকী ছবি।
কাটমানি নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের কেউ যাতে অনৈতিক কাজে জড়িত না-থাকেন সে ব্যাপারেও সতর্ক করেছেন। চালু হয়েছে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিও। এরপরেও বাগনানের ওড়ফুলি এবং শরৎ পঞ্চায়েত এলাকায় এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে মুম্বই রোডের ধারের কারখানাগুলি থেকে তোলাবাজি এবং বেআইনি ভাবে জমি কেনাবেচার অভিযোগ ওঠা বন্ধ হয়নি। এ বার নাম না-করে সেই নেতার বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বাগনানের তৃণমূল বিধায়ক অরুণাভ সেন। কারখানা-মালিকদের এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোরও পরামর্শ দিলেন।
শনিবার দেউলটিতে দলের এক প্রকাশ্য সমাবেশে অরুণাভবাবু বলেন, ‘‘কারখানা-মালিকদের বলছি, কোনও নেতাকে একটি পয়সাও তোলা দেবেন না। আপনারা এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। তাতেও কাজ না-হলে সরাসরি আমায় বলুন। দেখাব, কী ভাবে তোলাবাজি বন্ধ করতে হয়।’’ তোলাবাজির সঙ্গে জড়িত ওই নেতাকে রাজনৈতিক ভাবে বিচ্ছিন্ন করার কথাও জানান বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘‘তোলাবাজির সঙ্গে জড়িতরা এই এলাকায় দলের নিয়ন্ত্রক ছিলেন। আজ থেকে সব বন্ধ। এখানে আমি ছাড়া কেউ দলের নেতৃত্ব দেবেন না। দুই পঞ্চায়েত এলাকায় দলের কমিটিও ভেঙে দেওয়া হল। আমি নিয়ম করে সপ্তাহে একবার করে দলীয় কার্যালয়ে বসব। ১৫ দিন অন্তর দু’টি পঞ্চায়েতে আসব। মানুষ তৃণমূলকে বিচার করবে উন্নয়নের নিরিখে।’’
এ দিনের সভা ডাকা হয়েছিল এনআরসি এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে। হাজির ছিলেন জেলা (গ্রামীণ) তৃণমূল সভাপতি তথা উলুবেড়িয়া দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক পুলক রায়, উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা, পাঁচলার বিধায়ক গুলশন মল্লিক, জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি অজয় ভট্টাচার্য প্রমুখ। বক্তৃতায় তাঁরাও অরুণাভবাবুকে মর্থন করেন।
ওই সমাবেশেই কয়েকশো অনুগামীকে নিয়ে পুরনো দলে ফিরে আসেন বিজেপিতে চলে যাওয়া দুই তৃণমূল নেতা শেখ আয়ুব এবং জিল্লুর ইসলাম। অরুণাভবাবু বলেন, ‘‘দলের কারও কারও ব্যবহারে ক্ষুণ্ণ হয়েই আয়ুব এবং জিল্লুর বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন। আমি তাঁদের বুঝিয়েছি। নেতাদের কারও কারও ব্যবহারের জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। সবাইকে কথা দিচ্ছি, এই এলাকায় তোলাবাজরা আর দল চালাবে না।’’
তৃণমূল নেতৃত্বের ধারণা, তোলাবাজিতে অভিযুক্ত নেতা ও তাঁর অনুগামীরা বিজেপিতে যোগ দেবেন। পুলকবাবু বলেন, ‘‘বিজেপি যদি অশান্তি করে তা হলে পুলিশ যেন হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। পুলিশ তা যদি না করে তা হলে আমরা থানা ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিচ্ছি।’’ এ দিন দেউলটি মোড়ে বিজেপির হাত থেকে দলীয় একটি কার্যালয় ‘উদ্ধার’ করে তৃণমূল। গত ৪ অগস্ট ওই কার্যালয়ে বিজেপি তালা মেরে দেয় বলে অভিযোগ। বিজেপি অভিযোগ মানেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy