Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪

ধৃত পারবাকসি হোমের সুপার

এ দিন পম্পাকে একদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। বৃহস্পতিবার চার জনকেই ফের আদালতে তোলা হবে।

আদালতের পথে পম্পা পাত্র। নিজস্ব চিত্র

আদালতের পথে পম্পা পাত্র। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
জয়পুর শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:১৭
Share: Save:

গ্রেফতার করা হল পারবাকসির হোমের সুপারকে। বুধবার সকালে হাওড়ার জয়পুরের ওই হোমের সুপার পম্পা পাত্রকে গ্রেফতার করে আদালতে
তোলে পুলিশ।

প্রতিবন্ধী চার কিশোরীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে এর আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল হোমের কর্মী ফণিমোহন বাগ, প্রতাপ প্রামাণিক ও গাড়ির চালক বাবলু ধাড়াকে। পুলিশ জানিয়েছে, যৌন নির্যাতনে মদত দেওয়ার অভিযোগে এ বার গ্রেফতার করা হল পম্পাকে। মঙ্গলবার বিকেলেই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল উলুবেড়িয়া মহিলা থানায়। ঘণ্টাখানেক জিজ্ঞাসাবাদের পর আটক করে রাখা হয় তাঁকে। এ দিন সকালে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এ দিন পম্পাকে একদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। বৃহস্পতিবার চার জনকেই ফের আদালতে তোলা হবে।

হোম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত চার বছর ধরে ওই হোমে সুপার হিসাবে কাজ করছেন পম্পা। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার গৌরব শর্মা বলেন, ‘‘চার কিশোরীর যৌন নিগ্রহের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে পম্পাকে।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, ওই হোমের ১৯০ জন মহিলা আবাসিকের দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন সুপার। সে ক্ষেত্রে পম্পার উপস্থিতিতে হোমের মধ্যে পুরুষ কর্মীরা আনাগোনা করতেন। এমনকি আবাসিক মহিলাদের শৌচালয়ও পুরুষ কর্মীরা ব্যবহার করতেন বলে অভিযোগ।

এ দিন আদালতে যাওয়ার পথে পম্পা অবশ্য বলেন, ‘‘কেন গ্রেফতার করা হল জানি না।’’ মঙ্গলবার বিকেলে হোমের দুই সহকর্মী ও দুই আবাসিককে নিয়ে থানায় গিয়েছিলেন পম্পা। খানিক জিজ্ঞাসাবাদের পর অন্য চার জনকে হোমে ফিরে যাওয়ার জন্য বলে পুলিশ। পম্পা ছিলেন মহিলা থানায়।

গত ২৬ নভেম্বর হাওড়া জয়পুর পারবাকসির একটি বেসরকারি হোমে রুটিন পরিদর্শনে আসে জেলা শিশু সুরক্ষা দফতর। আবাসিকদের সঙ্গে কথা বলে জেলা আধিকারিকরা জানতে পারেন চার কিশোরীর ওপর হোমের কর্মীরা যৌন নির্যাতন করেন। হোমের কর্ণধার সুকুমার সাউয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

অন্য বিষয়গুলি:

Jaypur Howrah Home Super Arrest Sexual abuse
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE