ধৃত: তুহিন সাহা। নিজস্ব চিত্র
ফুটবলার স্নেহাশিস দাশগুপ্ত ওরফে রাজাকে খুনের অভিযোগে ধৃত শ্রীরামপুরের তৃণমূল নেতা পিন্টু নাগকে জেলে গিয়ে জেরা করবেন রেল পুলিশের তদন্তকারী অফিসাররা।
সোমবার শ্রীরামপুরের এসিজেএম মৃণালকান্তি মণ্ডলের এজলাসে মামলার তদন্তকারী অফিসার পিন্টুবাবুকে জেলে গিয়ে জেরা করার আবেদন জানান। পিন্টুবাবুর আইনজীবী জয়দীপ মুখোপাধ্যায় আবেদনের বিরোধিতা করেননি। বিচারক আবেদন মঞ্জুর করেন। তবে, এ দিনই পিন্টুবাবুকে জেরা করা হয়নি। পরে তা করা হবে বলে রেল পুলিশের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে।
হাওড়ার রেল পুলিশ সুপার নীলাদ্রি চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পুরোটাই বিভাগীয় বিষয়। এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমকে কিছু বলা সম্ভব নয়।’’
গত ৩০ সেপ্টেম্বর, দশমীর ভোরে শ্রীরামপুর মাল গুদামের কাছে রেললাইনের ধারে রাজার দ্বিখণ্ডিত দেহ মেলে। ২ অক্টোবর শেওড়াফুলি জিআরপি থানায় পিন্টুবাবু, তাঁর স্ত্রী তথা শ্রীরামপুরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মৌসুমী নাগ-সহ বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে খুনের লিখিত অফিযোগ দায়ের করেন রাজার বাবা দোলন দাশগুপ্ত। তার ভিত্তিতে রেল পুলিশ খুন, প্রমাণ লোপের ধারায় পিন্টুবাবু-সহ মোট চার জনকে গ্রেফতার করে।
এর আগে আদালতের কাছে বাকি তিন জনকে নিজেদের হেফাজতে চাইলেও পুলিশ পিন্টুবাবুর ক্ষেত্রে তা করেননি। কেন তাঁকে হেফাজতে চাওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তদন্তকারী অফিসারকে। ওই অফিসার আদালতকে জানিয়েছিলেন, পিন্টুবাবুকে জেরা করার প্রয়োজন ছিল না। আদালত তখন পিন্টুবাবুকে জেল-হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। বিরোধীরা অভিযোগ তোলেন, ধৃত নেতাকে আড়াল করার জন্যই তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায়নি রেল পুলিশ। তদন্তকারীরা অবশ্য জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনে পিন্টুবাবুকে জেরা করা হতে পারে।
ধৃত অপর তিন জনকে এ দিন আদালতে হাজির করানো হয়। তাঁদের মধ্যে ধৃত তুহিন সাহার সঙ্গে ঘটনার ভোরে মোবাইলে রাজার কথা হয়েছিল। তুহিনের মোবাইলটি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। পুলিশ জানায়, দু’জনের কী কথা হয়েছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তুহিনের জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী অশোক সেন। সরকারি আইনজীবী অতনু ঘোষ জামিনের বিরোধিতা করে। আদালত তিন জনকেই ১৪ দিন জেল-হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy